বাজেট পুনর্বিবেচনা না করলে জমি-ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে : রিহ্যাব

| শুক্রবার , ২ জুন, ২০২৩ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

আগামী ২০২৩২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুনর্বিবেচনা না করলে আগামীতে জমি ও ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি পাবে। কারণ প্রস্তাবিত বাজেটে জমি রেজিস্ট্রেশনকালে উৎসে আয়কর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া সিমেন্ট, পাথর, টাইলস, লিফট, সিরামিক, গ্লাস, সুইচসকেট, ক্যাবল, কিচেনওয়্যারসহ কমপক্ষে ১০১২টি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সব শেষে এসব পণ্যের দাম গিয়ে পড়বে ফ্ল্যাট ক্রেতার ওপর। এসব পণ্যের দাম সহনশীল না রাখলে আবাসন শিল্পে সংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। খবর বাংলানিউজের।

গতকাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আবাসন খাতকে রক্ষায় প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। রিহ্যাব জাতীয় বাজেট উপলক্ষে আবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবি দাওয়া করলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার প্রতিফলন হয়নি। বিশেষ করে অপ্রর্দশিত অর্থের বিনিয়োগ, ফ্ল্যাটের সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে পুরাতন ফ্ল্যাটে নিবন্ধন ব্যয় কমানো, বিশেষ তহবিল গঠনসহ কোনো দাবির প্রতিফলন হয়নি বলে জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আমাদের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের একান্ত প্রচেষ্ঠায় গড়ে ওঠা এ খাত সম্প্রতি নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। উদীয়মান এই খাতে নানা রকম কর আরোপ ও সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে ক্রমে দেশের আবাসন খাত মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পতিত হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে জমি রেজিস্ট্রেশনকালে উৎসে আয়কর বৃদ্ধি, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর উপর নতুন করে অতিরিক্ত কর আরোপ এই আবাসন খাতকে আরও সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। বাড়তি দাম ক্রেতার ওপর পড়বে এবং সবার জন্য আবাসন এই স্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে ও অনেকের আবাসনের স্বপ্ন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

এই অবস্থায় সরকারের আশু পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই সংকট উত্তরণ অসম্ভব। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, নতুন ড্যাপের হার হ্রাসসহ নানা কারণে সমগ্র গৃহায়ণ খাতে বিক্রয় পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এমনিতেই জমি এবং ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এই মুহূর্তে নতুন করে নানা পণ্যের কর বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমাদের শঙ্কা।

আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, রিহ্যাবের বাজেট প্রস্তাবনায় আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলাম স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা। ২০২০২০২১ অর্থবছরে বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় এসেছে। সরকার ২ হাজার কোটি টাকার উপরে রাজস্ব পেয়েছে। স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ একটা বছর রাখলে অর্থনীতিতে একটা ভালো সুফল আসবে। কাজেই আমরা এই অবস্থায় যদি অপ্রদর্শিত অর্থ পাচারের সুযোগ না রেখে মূলধারার অর্থনীতিতে নিয়ে আসতে পারি তবে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করা সহজ হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তকে ফোনে হত্যার হুমকি
পরবর্তী নিবন্ধ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার : কামাল