বাছুরের পা বেঁধে পুকুরে ফেলে হত্যা

গোয়াল ঘরে নেশা করতে বাধা

পটিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

গোয়াল ঘরে বসে নেশা করতে বাধা দেয়ায় রাগে-ক্ষোভে গরু বাছুরকে পা বেঁধে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে একদল বখাটে। লোমহর্ষক ও পাশবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে পটিয়া উপজেলার উত্তর হাইদগাঁও বদুর বাপের বাড়িতে। এ ঘটনায় গত শনিবার পটিয়া থানায় একই এলাকার খায়ের আহমদের পুত্র মো. আরমানকে প্রধান ও অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন গরুর মালিক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় একমাস আগে মহিউদ্দিনের গোয়াল ঘরে বসে স্থানীয় বখাটে যুবক আরমানসহ কয়েকজন নেশা করছিল। এসময় মহিউদ্দিনের মা ফাতেমা বেগম তাদের নেশারত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বকাঝকা করে চলে যেতে বলে।
এক পর্যায়ে তারা চলে যাওয়ার সময় গরু মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার গভীর রাতে গোয়াল ঘরে ঢুকে ৩৫/৪০ হাজার টাকা দামের একটি গরুর বাছুরকে মেরে পা ভেঙে ও পরে পা বেঁধে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। শনিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে পা বাঁধা অবস্থায় বাছুরটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
গরুর মালিক মহিউদ্দিন জানান, গোয়াল ঘরে বসে নেশা করতে বাধা দেয়ায় আমার গরু বাছুরটিকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাদকাসক্ত আরমান। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে আমি এর যথাযথ শাস্তির দাবি জানাই।
জানতে চাইলে পটিয়া থানার এসআই মোরশেদুল আলম জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুর বাছুরটিকে মারার সত্যতাও পেয়েছি। তবে কে বা কারা মেরেছে তা তদন্ত করে বের করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজামিনে থাকা যাবে আরো ২ সপ্তাহ
পরবর্তী নিবন্ধফকির তালুক সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভা