বাঙালিরা সংগঠন প্রিয়। সংগঠন যাঁরা করে তাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা ও মাধুর্য এবং শুদ্ধ আচরণ বা শুদ্ধাচার একটি সাংগঠনিক অনুষঙ্গ। বাঙালির সাংগঠনিক প্রতিভা কেন কম? কেন বাঙালির সংগঠন টেকে না? কেন বড় বড় সংগঠনে এত প্রতিহিংসা? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন এমন একজন বাঙালি, যিনি নিজে গড়ে তুলেছেন এক অনন্য উদাহরণ সংগঠন।
এক অতুলনীয় নাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। সৃষ্টি করেছেন, বিকশিত করেছেন। প্রজ্ঞাবান গবেষক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ লক্ষ্য করেছেন, বাঙালির সাংগঠনিক ব্যর্থতার অন্যতম কারণ আত্নপরতা, আত্নঘাত ও আত্ন অহংকার। শিষ্টাচার, পরমত সহিষ্ণুতার অভাব। তিনি খুঁজেছেন এ কারণ গুলো বিদ্যমানতার কারণ। সুচিন্তা আর ভাব, প্রশ্ন আর প্রেম, যুক্তি আর শিল্পে আত্নত্যাগ থাকতে হবে।
বড় সংগঠনের পদ পদবীতে থেকে অশালীন কথা, না জেনে কথা বলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ফেইসবুকে নিজের কাপড় পরিধানে রুচিবোধের পরিচয়ের থাকতে হয়। অশালীন ছবি পোস্ট কোনও সংগঠকের মানায় না। সার্বজনীনতা সবসময় নিজেকে ধারণ করতে হয়। এ ভাবে শুদ্ধাচার অনুশীলন হয়।