বাগানে বন্যহাতির দল, ভাঙল ১২শ ফল গাছ

বাঁশখালী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৩ মে, ২০২৩ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীতে বন্যহাতির তাণ্ডবে ১২ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বৈলছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক।

জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় আবদুল লতিফের পুত্র মো. ওসমান প্রায় ৮ কানি জায়গায় গড়ে তোলেন আম, লিচু, কাঠাল, লেবু ও সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের বাগান। বর্তমানে বাগানে আম, লিচু ও কাঠালসহ বিভিন্ন জাতের ফলের বিপুল ফলন হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার বাগানে হানা দেয় ৯টি বন্যহাতির পাল। এ সময় বাগানের পাহারাদার জাকের আহমদ স্থানীয় লোকজনদের ডেকে হাতিগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে হাতির পালটি প্রায় ১২ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ ভেঙে ও উপড়ে ফেলে। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানিয়ে বাগান মালিক মো. ওসমান বলেন, বন্যহাতির পাল আমার বাগানে তাণ্ডব চালিয়ে আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে।

ঘটনাস্থলে সরজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো. ওবাইদুল্লাহ বলেন, এখানে প্রায় সময় হাতির পাল বিচরণ করতে দেখা যায়। কিন্তু রোববার রাতে প্রায় ৯টি হাতির পাল একসাথে বাগানে ঢুকে পড়ে এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ ভেঙে ও উপড়ে ফেলে তাণ্ডব চালায়। রাত নামলেই আমরা আতংকে থাকি। কখন যে বন্যহাতির পাল নেমে আমাদের সর্বস্ব নষ্ট দেয় সেই আশংকায়।

বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি এলাকায় প্রতিদিন হাতির পাল এসে নানাভাবে ফসলের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জের আওতাধীন বন কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, পূর্ব বৈলছড়িতে বন্যহাতির পাল একটি বাগানে ক্ষয়ক্ষতি করার খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আবেদন করা হলে বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডলার সংকটের পেছনে আমদানি রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার
পরবর্তী নিবন্ধদুদকের একার পক্ষে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব নয়