বাংলাবাজারে পুড়েছে কেমিক্যালের গুদাম

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বাংলাবাজারে কেমিক্যালের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বাংলাবাজারের গ্যাস র‌্যালি ঘাটের বাবুল মাঝি ও ভুইয়া অ্যান্ড ব্রাদার্সের গুদামে এ ঘটনা ঘটে। এতে মাঝিরঘাট জুড়ে আতংক ছড়িয়েছে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্যাস র‌্যালি ঘাটে ৬-৭টি গুদাম রয়েছে। এখানে গুদামজাত পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগ কেমিক্যাল।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তিনটি স্টেশনের ৭টি ইউনিটের ১০টি গাড়ি আগুন নেভানোর কাজ করে।
ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী মো. বশির বলেন, আমরা কর্ণফুলী নদীতে বেড়াতে এসেছিলাম। আগুন দেখে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। এখানে আগুনের চেয়ে ধোঁয়ার কারণে লোকজন আগুন নিভাতে কাছে যেতে পারছিলেন না।
স্থানীয় গুদাম শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, বাবুল মাঝির গোডাউনে আগুন লেগেছে। গ্যাস র‌্যালি ঘাটে বাবুল মাঝির গোডাউন অনেক বড়। ভেতরে আগুন ও ধোঁয়ায় কেউ কাছে যেতে পারছিল না। কেমিক্যাল থাকায় আতংকে শত শত মানুষ ভিড় করেছে।
আগুন লাগা একটি গুদামের কিপার মো. ফারুক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, গুদামে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা এসেছি। এখানে আমাদের আমদানিকৃত মালামাল ছিল। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, আমরা গুদামটি মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া নিয়েছি।
এ ব্যাপারে বাবুল মাঝির সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোনের অপর প্রান্তে বাবুল মাঝির স্টাফ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি বলেন, গোডাউনে ক্ষতিকর মালামাল ছিল না। গোডাউনটিতে দুই-চার-পাঁচ লক্ষ টাকার মালামাল রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক শামীম আহসান চৌধুরী বলেন, আগুন লাগার খবরে আমাদের ৭টি ইউনিটের ১০টি গাড়ি কাজ করছে। এখানে হাইড্রোজেন পার অঙাইড, সোডিয়াম সালফেটসহ নানা ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভয়ের কিছু নেই।
তিনি বলেন, এত বড় গোডাউন থাকলেও এখানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। ফায়ার রুল অনুযায়ী ভেতরে প্রবেশের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আগুন লাগার কারণ বিষয়ে তিনি বলেন, ধোঁয়ার কারণে আগুন লাগার কারণ চিহ্নিত করা যায়নি। কেমিক্যালের ধোঁয়ার কারণে অঙিজেন মাস্ক ছাড়া গোডাউনের ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি।
রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ। তিনি বলেন, এখনো আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এখানে বিভিন্ন কেমিক্যালের শত শত বস্তা রয়েছে। এসব বস্তার মূল্য সম্পর্কে আমরা জানি না। অগ্নি নির্বাপণের কাজ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতি ও আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতুচ্ছ কারণে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১২
পরবর্তী নিবন্ধহালিশহরে পুড়ল ৪৬ দোকান