হালিশহরে পুড়ল ৪৬ দোকান

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নগরের হালিশহর আর্টিলারি সংলগ্ন গোডাউন মার্কেটের ৪৬টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে সৃষ্ট এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মার্কেটটি ‘ভ্যারাটিজ মার্কেট’ নামে পরিচিত ছিল স্থানীয়দের কাছে। টিনশেডের কাঁচা ও আধাপাকা মার্কেটটিতে কাপড়, জুতা, কসমেটিকস, মুদি, সবজি ও কুলিং কর্নারসহ ১৫০টি দোকান ছিল। সকাল সোয়া ৮টার দিকে আশেপাশের লোকজন মার্কেটের পূর্ব দিকে কাপড়ের দোকানে আগুন দেখতে পায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মার্কেটের দোকানদাররা। খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে।
তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও চেষ্টা করে। ৯টার পর আগ্রাবাদ ও বন্দর ফায়ার স্টেশনের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। সকাল ১১টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শামীম হাসান চৌধুরী আজাদীকে বলেন, মার্কেটটিতে ১৫০টি দোকান ছিল। এর মধ্যে ১০৪টি রক্ষা করতে পেরেছি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। আমরা আগামীকাল (আজ) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব।
দুুপুরে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডে ৪৬টি দোকান পুড়ে গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি কাপড়ের দোকান রয়েছে। এছাড়া ১০টি সবজির, ছয়টি মুদির, দুটি করে জুতার ও কসমেটিকসের এবং একটি করে কুলিং কর্নার ও চায়ের দোকান রয়েছে।
গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে তখন কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। মার্কেটটির একটি অংশে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জিনিসপত্র বের করার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
শাহনেওয়াজ নামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী আজাদীকে বলেন, মার্কেটে বৈদ্যুতিক সংযোগের দুটি লাইন। এর মধ্যে একটিতে গত সপ্তাহে শক করে। পরে লাইনটি কেটে দেয়া হয়। এর ফলে অনেকগুলো দোকানে একদিন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। মনে হয় পরে অন্য একটি লাইন থেকে সংযোগ দেয়ায় লোড বেড়ে গিয়ে শর্ট সার্কিট করে আগুন লাগে। যখন আগুন লাগে তখন মার্কেট বন্ধ ছিল। তাই মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।
রিপন নামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, এত বড় মার্কেট। অথচ অগ্নিনির্বাপক কোনো যন্ত্র ছিল না।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাশেম আজাদীকে বলেন, যেগুলো পুড়ে গেছে তার বাইরে অন্যান্য দোকানে অগ্নি নির্বাপণে ব্যবহৃত পানির জন্য ক্ষতি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাবাজারে পুড়েছে কেমিক্যালের গুদাম
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক কাউন্সিলর মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের চার মামলা