সাবেক কাউন্সিলর মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের চার মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

লালখান বাজারে সরকারি জমি-পাহাড় দখল, স্কুল ও মসজিদের জায়গায় দোকান নির্মাণ করে বিক্রি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ (সজেকা-১) থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গত সোমবার বিকেলে দুদক চট্টগ্রাম সজেকা-১ এ মামলা চারটি করেন একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ। দুই মামলায় সাবেক কাউন্সিলর মানিককে এককভাবে আসামি করা হয়। অন্য দুই মামলায় মানিক ছাড়াও আরো তিনজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকী, লালখান বাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ এন ফারুক আহমদ।
জানা যায়, সোমবার দায়ের হওয়া ১৯নং মামলায় লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় সরকারি পাহাড় দখল করে বাড়ি নির্মাণ, পুকুর খননসহ ভাড়া ঘর নির্মাণ ও সরকারি জায়গার দখলসত্ত্ব বিক্রি এবং ভাড়া দিয়ে ৪৫ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় কাউন্সিলর মানিকের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে ২০নং মামলায় সাবেক কাউন্সিলর মানিক ও জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকী ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে অবৈধ চুক্তি করে সরকারি জায়গা চিরতরে দখল হস্তান্তর হিসেবে ২৮ লক্ষ ১১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে।
একইভাবে ২১নং মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে লালখানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে সিডিএ অনুমোদিত নকশা ছাড়া মার্কেট নির্মাণ করে দোকান বিক্রি ও ভাড়ার আয় থেকে উপার্জিত অর্থ স্কুল ফান্ডে জমা না দিয়ে ২৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
লালখান বাজার জামে মসজিদের দোকান বরাদ্দ দেয়ার নাম করে বরাদ্দ প্রত্যাশীদের নিকট হতে ৪৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় মানিক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঘটনাগুলো আগের। অভিযোগও পুরোনো। এরআগে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে কাউন্সিলর মানিকের বিরুদ্ধে জমা হওয়া অভিযোগের অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পৃথক চারটি মামলা দায়েরের জন্য কমিশনে প্রতিবেদন দেয়া হয়। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে সোমবার মামলা চারটি রেকর্ড করা হয়। এখন তদন্ত চলবে। তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহরে পুড়ল ৪৬ দোকান
পরবর্তী নিবন্ধদায়িত্বে থাকছেন না বোর্ড চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক