তুচ্ছ কারণে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১২

বায়েজিদ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন কলোনি খেলার মাঠ সংলগ্ন টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাস হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এজাহার দিয়েছেন। পুলিশ এজাহারভুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। হোস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে মারামারিতে ব্যবহার করা ক্রিকেট ব্যাট ও লোহার রড উদ্ধার করে। সংঘর্ষে জড়িতরা ক্যাম্পাসে ‘নোয়াখালী গ্রুপ’ এবং ‘সমগ্র বাংলাদেশ গ্রুপ’ নামে পরিচিত। আহতদের মধ্যে নোয়াখালী গ্রুপের ১০ জন এবং সমগ্র বাংলাদেশ গ্রপের ২ জন রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হোস্টেলের দ্বিতীয় তলায় ৫ম পর্বের কয়েকজন ছাত্র জোরে পায়ের আওয়াজ করে নামছিল। তখন ৭ম পর্বের ছাত্ররা তাদের হাঁটার শব্দ করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মো. উল্লাহ আশরাফ, সৌরভ, মাইদুল হাসান, ফয়েজ উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম আশিক, রাশেদুল ইসলাম, পারভেজ হোসেন, ফজলে রাব্বী রিমন, জিয়াউর রহমান রাজন, অভিজিৎ দত্ত ও রাজিব হোসেনকে রক্তাক্ত
অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। এর মধ্যে ৯ জনকে গতকাল রিলিজ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, হোস্টেলে ৭ম সেমিস্টারে ৭৫ জন ছাত্র আছে। তার মধ্যে ১৫ জনই নোয়াখালী জেলার। নোয়াখালী জেলার টেঙটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে এই ১৫ জন একসাথে বায়েজিদ টেঙটাইল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। গত চার বছর ধরে হোস্টেলে তারা আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন। তাদের সঙ্গে প্রায় অন্য জেলা থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরোধ হতো।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, নোয়াখালী গ্রুপ এবং সমগ্র বাংলাদেশ গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। চারতলা বিশিষ্ট হোস্টেলের ৩য় তলায় নোয়াখালী গ্রুপের ছাত্ররা থাকে। ঘটনার সময় হোস্টেল উপদেষ্টা কমিটি আকস্মিক ভিজিটের সময় কমিটির সাথে নোয়াখালী গ্রুপের ছাত্ররা চতুর্থ তলায় ওঠে। তখন সেখানে অবস্থান করা অন্যান্য জেলার ছাত্রদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাৎক্ষণিক ভিজিটিং কমিটি মিটমাট করে দেয়। তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতির প্রভাব বিস্তার করতেই সংঘর্ষ জড়িয়েছে তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে এক কেজি ক্রিস্টাল মেথসহ দুই রোহিঙ্গা আটক
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাবাজারে পুড়েছে কেমিক্যালের গুদাম