বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের সাথে একাত্ম হয়ে আছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম বৃহত্তর চট্টগ্রামের স্মরণসভায় বক্তারা

| শনিবার , ২০ মে, ২০২৩ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্মরণসভা গতকাল বিকেলে নগরীর সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী।

প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। বক্তব্য রাখেন আবদুল মালেক খান, এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, শিলা চৌধুরী, এম এ খালেক, এস এম রাফি, মিশু সেন, শাহরিয়ার মুনতাসীর মাহি, প্রান্ত রায়, মোহাম্মদ আকবর প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আমৃত্যু দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কলম ধরেছেন সাহসিকতায়। মুজিবনগরে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। বাঙালির ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রয়েছে গাফ্‌ফার চৌধুরীর নাম। তিনি মুক্তবুদ্ধি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের স্বপক্ষে জনমত গড়ে তুলেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে লিখেছেন কলামগল্পকবিতাউপন্যাস। আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। একুশের অমর গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীর হৃদয়জুড়ে বিরাজ করতো প্রিয় মাতৃভূমি; যা তার লেখনিতে প্রকাশ পেয়েছে সবসময়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় তার লেখনী; তার অবদানের কথা ‘আমরা কি কখনো ভুলিতে পারি’। বিশ্বখ্যাত একজন বরেণ্য সাংবাদিক হিসেবে তার অবদান বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে অনন্তকাল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপার্বত্যাঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধবিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত