চলতি অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে দশ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া। একই সঙ্গে ভারত সরকারের ভ্যাকসিন মৈত্রী কর্মসূচির আওতায় নেপাল ও মিয়ানমারেও দশ লাখ ডোজ করে টিকা পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট। এ কোম্পানি থেকে অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ‘কোভিশিল্ড’ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক। খবর বিডিনিউজের।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পেয়েছে বাংলাদেশ।