টাইগারপাস র‌্যাম্প নিয়ে সিডিএর স্পষ্ট ঘোষণা চান পরিবেশবাদীরা

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষারও দাবি

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৯:২০ পূর্বাহ্ণ

প্রাকৃতিক ঐতিহ্য ঘোষিত দ্বিতল সড়ক টাইগারপাসে এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং সিডিএ কর্তৃক এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা এবং চট্টগ্রামের পাহাড়, নদী, খাল, জলাশয়, বন, মাঠ, জীববৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, ন্যাচারাল হেরিটেজ সুরক্ষা ও চট্টগ্রাম শহরের সবুজবেষ্টিত অঞ্চলকে গ্রিন জোন ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন, চট্টগ্রাম। গতকাল শনিবার নগরীর টাইগারপাস মোড়ে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশে সংগঠনের দাবিসমূহ ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঘোষণা করেন সংগঠনের মুখপাত্র রিতু পারভী।

সংগঠক ডা. মো. মনজুরুল করিম বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, সিনিয়র বিজ্ঞজন ও সিভিল সোসাইটির পক্ষ থেকে প্যানেল আলোচক/বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শফিক হায়দার, অর্থনীতিবিদ ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর সিকান্দার খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার সুভাষ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ইমরান বিন ইউনুস, নাট্যজন ও লেখক শিশির দত্ত, আলোকচিত্রশিল্পী মইনুল আলম, উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কমল সেনগুপ্ত, চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন আজাদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসরীন আকতার।

সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. এম. এ গফুর, নারীনেত্রী হাসিনা আকতার টুনু, উন্নয়ন সংগঠক উৎপল বড়ুয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা পরিষদের মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) জসীম উদ্দিন, এম শাহাদাৎ নবী খোকা ও জাফর আল তানিয়া।

সংহতি জানানো সংগঠন ও ব্যক্তিরা হলেন হক ফাউন্ডেশন, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম, ঊষা নারী উন্নয়ন সংস্থা, বুরো বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংগঠন, নারী ঐক্য বাংলাদেশ, সংশপ্তক, বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন, এইচ ফাউন্ডেশন, শহীদ স্মৃতি পাঠাগার, ফার্মাসিউটিক্যাল পরিবেশ ফোরাম, একশন ফর ইয়ুথ ক্লাব ও বাইকার নজরুল ইসলাম। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মাহমুদুল আলম সৈকত। সম্মিলিত পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন, চট্টগ্রামের সংগঠকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাশেদ সুফিয়ান, সৌরভ চৌধুরী, জাহেদুল আলম, সোহাইল উদ দোজা ও তোফাজ্জেল অভি।

বক্তারা বলেন, এই স্পটে র‌্যাম্পের কোনো প্রয়োজন নেই। যেখানে ৯৮% মানুষ এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে না সেক্ষেত্রে তাদের ট্যাক্সের টাকায় এটি বানোনো হচ্ছে। সকল বয়সের জনগণ আজ একত্র হয়েছে টাইগারপাসের দ্বিতল সড়কের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের বিপক্ষে।

একটি গাছ কাটলে শুধু ওই গাছের প্রাণ নয়, সেইসাথে অনেক কিছুর মৃত্যু ঘটে। নগর পরিকল্পনাবিদদের যেকোনো মূল্যে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিকনদন্ডী ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন আজ
পরবর্তী নিবন্ধকাপ্তাই হ্রদে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ