বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন বিপ টেস্ট নয় ইয়ো-ইয়ো টেস্ট

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ১০ অক্টোবর, ২০২০ at ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই করা হচ্ছে বিপ টেস্ট দিয়ে। তবে এবার হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অনুশীলনে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা দেখা হয়েছে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট দিয়ে। জাতীয় দলেও এখন বিপ টেস্টের বদলে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিপ টেস্ট ও ইয়ো-ইয়ো টেস্ট অনেকটা কাছাকাছিই। মূল পার্থক্য, বিপ টেস্টে বিভিন্ন ধাপে দৌড়াতে হয় টানা। ইয়ো-ইয়ো টেস্টে বিভিন্ন ধাপের মধ্যে ৫-১০ সেকেন্ড বিরতি নেওয়ার সুযোগ থাকে, তবে ধাপগুলোতে পর্যায়ক্রমে কমে আসে দৌড়ানোর সময়। ক্রিকেট বিশ্বে এমনিতে গত কয়েক বছরে বেশির ভাগ দেশে ইয়ো-ইয়ো টেস্টই বেশি প্রচলিত। তবে অনেক ক্রিকেটারের মতে, বিপ টেস্ট তুলনামূলক একটু বেশি কঠিন। কার্যকারিতা অবশ্য নির্ভর করে একেক দেশের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে একেকরকম। এবার বিসিবির এইচপি স্কোয়াডের অনুশীলন শুরুর দিনে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট হয়েছে ক্রিকেটারদের। এইচপির স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ তুষার কান্তি হাওলাদার জানান, নতুন এই পরীক্ষায় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল বেশ ভালো। ‘বিপ টেস্ট মূলত এনডিউরেন্স টেস্ট, আর ইয়ো-ইয়ো টেস্ট হলো এয়ারোবিক এনডিউরেন্স টেস্ট। বাংলাদেশে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট এবারই প্রথম হলো আমার জানা মতে।’ ‘নতুন কিছুতে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগেই। তারপরও ছেলেরা সবাই বেশ ভালো করেছে। আমি বলব না যে খুব দারুণ কিছু বা বিশ্বমানের ছিল ওদের পারফরম্যান্স। তবে সবারই বেশ সন্তোষজনক ছিল।’ বাংলাদেশে সব পর্যায়ের ক্রিকেটে এতদিন বিপ টেস্টই চালু ছিল। বিসিবির ‘হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স’ হিসেবে নিকোলাস লি যোগ দেওয়ার পর এবার এইচপিতে শুরু হলো ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। এই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলের জন্যও ইয়ো-ইয়ো টেস্ট চালু হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিকোলাস লি অবশ্য জানালেন, এখনও তারা কিছু চূড়ান্ত করেননি। বিভিন্ন ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের ন্যূনতম মানদন্ড বিভিন্ন রকম। ভারতে এটি ১৬.১, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় ১৭.৪, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে ১৯।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর ও ভ্যাট থেকে কমেছে সরকারের আয়
পরবর্তী নিবন্ধমেজর পদমর্যাদা পেলেন চান্ডিমাল-থিসারা