চলমান সংকটের মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ার প্লান্ট সর্বোচ্চ উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার থেকে একটি ইউনিটের দৈনিক ২৯০ থেকে ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া শুরু করেছে এসএস পাওয়ার। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে।
গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানা প্রতিষ্ঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী এক–দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে সর্বোচ্চ ক্ষমতার সমপরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এ কেন্দ্রটি। এতে বর্তমান নাজুক বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে বলে আশা করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় অবস্থিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপর ইউনিট থেকেও খুব শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ মে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। পাওয়ার প্ল্যান্টটি এখন সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে যাচ্ছে। খুব দ্রুতই পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে চীন থেকে কয়লা এসেছে পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য। এ মাসে আরও একটি কয়লার চালান চট্টগ্রাম এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সেপকো থ্রি এর যৌথ উদ্যোগে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বা ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণ করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস. আলম গ্রুপ।