সরকারিভাবে বাঁশখালীর নাপোড়ায় একটি বালুমহল থাকলেও বাঁশখালীর পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, পৌরসদর জলদী, শীলকূপ, চাম্বলের পাহাড়ি এলাকায় ও পুঁইছড়িতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে একটু থামে আবার চলে এ অবৈল বালি ব্যবসা।
আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বাঁশখালীর বৈলছড়ি পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত ১ লক্ষ ২৫ হাজার ঘনফুট অবৈল বালি জব্দ করে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে থানা পুলিশ সহ গঠিত প্রশাসনিক দল।
স্থানীয়রা জানায়, বৈলছড়িতে আবদুল্লাহ, মনচুর, শুক্কুর সহ বেশ কয়েকজনের সিন্ডিকেট এ অবৈধ বালি ব্যবসার সাথে জড়িত। পরে সে অবৈধ বালি নিলাম দেওয়া হয় ১১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দরে যা ভ্যাট-ট্যাক্স সহ পড়বে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। সর্বোচ্চ দরদাতা শামসুল আলম এ নিলাম পান বলে জানা যায়।
সাধারণ ও ভুক্তভোগী জনগণের অভিযোগ পাহাড় থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন রোধ করা না গেলে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। তাই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে বৈলছড়ির ঘটনাস্থলে গিয়ে বালি জব্দ করে পরে তা নিলামে বিক্রি করি।”
এদিকে, রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিলামের টাকা জমা হয়নি বলে জানায় একটি বিশ্বস্ত সূত্র।