বনজ কুমারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুলের মামলার আবেদন খারিজ

নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদনও নামঞ্জুর

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমনটা উল্লেখ করে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সাথে কারাগারে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদনটিও না মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন। এ সময় বাবুলের পক্ষের আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বলেন, বাবুলকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগটি সঠিক মনে করেননি আদালত। এ জন্য খারিজ করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদনটি না মঞ্জুর করা হয়েছে।
বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, খারিজ ও না মঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং প্রতিকার চাইব। পিবিআই হেফাজতে গত বছরের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন এমন অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছার আদালতে মামলার আবেদনটি করেন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগার থাকা বাবুল আক্তার। বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া বাকী যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি মো. নাজমুল হাসান, পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের এসপি নাঈমা সুলতানা, সাবেক পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাবেক পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও এনায়েত কবির। এদের মধ্যে সন্তোষ কুমার চাকমা বর্তমানে নগরীর খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে এবং একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ডিবির বন্দর জোনে এসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আদালতসূত্র আরো জানায়, মামলার আবেদনের কয়েক দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে বাবুল আক্তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অপর আবেদনটি করেন।
গত ১৩ সেপ্টম্বর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী বাবুল আক্তারকে এক নম্বর আসামি করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।
চার্জশিটভুক্ত বাকী ছয়জন হলেন, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও খায়রুল ইসলাম কালু। এর মধ্যে মুসা ও কালু পলাতক। ভোলা জামিনে আছেন। কারাগারে আছেন- বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন। পিবিআইয়ের দায়ের করা উক্ত চার্জশিটে ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, আবু নছর, শাহজামান, সাইদুল ইসলাম সিকদার, নুরুন্নবী ও রাশেদুল ইসলাম। এর মধ্যে নুরুন্নবী ও রাশেদুল ইসলাম পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরো শতাধিক জনবল চায় ক্যান্সার ওয়ার্ড
পরবর্তী নিবন্ধট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেল প্রাইভেটকার