বজলুর রশিদের পাঁচ বছরের দণ্ডের রায় প্রকাশ

| রবিবার , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতির মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশিদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের দণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯ পৃষ্ঠার এ রায় সমপ্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

চলতি বছরের ১৮ জুন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আপিল খারিজ করে দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো. মাসুদউল হক ও মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর বজলুর রশিদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন। খবর বাংলানিউজের।

খুরশীদ আলম খান বলেন, ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছিলেন। শুনানি শেষে পাঁচ বছরের দণ্ড ও জরিমানা বহাল রেখেছেন। তবে সশ্রম কারাদণ্ডের স্থলে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগপত্রে বলা হয়, বজলুর রশিদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/(পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশিদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সবমিলিয়ে তার নামে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ () ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ ঢাকায় কারা সদরদপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত শরিফুল ইসলামের নামে বিভিন্ন থানায় চারটি ও আবরার জাওয়ার তন্ময়ের নামে একটি প্রতারণার মাধ্যমে অর্থআত্মসাতের মামলা আছে। আবরার জাওয়ার তন্ময় ও কামরুজ্জামান শিশির উভয়ই ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি। প্রতারণার উদ্দেশে তারা লিঙ্গ পরিবর্তন করে হৃদি মাহাজাবিন থেকে আবরার জাওয়ার তন্ময় ওরফে রেজাউল করিম রেজা এবং শারমিন থেকে কামরুজ্জামান শিশিরের পরিচয় ধারণ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুয়েতের ভিসা জালিয়াতি চক্রের তিনজন রিমান্ডে
পরবর্তী নিবন্ধমেরিন একাডেমিতে সরকারি কর্মচারী আইন বিষয়ক সেমিনার