বঙ্গমাতা

মিতা দাশ | সোমবার , ৮ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

‘কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি,/ শক্তি দিয়াছে, প্রেরণা দিয়াছে,বিজয় লক্ষী নারী’। কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কথাগুলো যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায়, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে। বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছিলেন একজন অসামান্য ধৈর্যশীল, দায়িত্ব সচেতন, বুদ্ধিমতী,মমতাময়ী মা ও সুদক্ষ সহধর্মিণী। বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কোনদিন জাতির পিতাকে ঘরে বন্দি করে রাখতে চাননি। তিনি চাননি ঘরের মধ্যে শুধু পরিবারের মাঝে আটকে থাকুক।বঙ্গমাতা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি অনেক বড় একজন দেশপ্রেমিক। তাই তিনি দেশের কাজে সবসময় উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সাহস যুগিয়েছেন। একা হাতে এত বড় পরিবারের সকল দায়িত্ব পালন করে গেছেন হাসি মুখে।নিরবে সংসারের দায়িত্ব পালন করার পরও জাতির পিতার পাশে পাশে দেশের সেবা মুলক কাজেও অংশ নিতেন মাঝে মাঝে।সঠিক পরামর্শ দিয়ে জাতির পিতাকে আরো জনগণের সাথে, দেশের সাথে একাত্মতার বন্ধনে বাঁধতে সহায়তা করতেন। নিজের সুখের কথা,নিজের আনন্দের কথা না ভেবে। এমন অসংখ্য গুণের মহীয়সী নারী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। তাইতো তিনি আমাদের বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতার জন্মদিনে থাকলো সহস্র সালাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলি। এমন মাতার কারণেই আমরা পেয়েছি মানবদরদী, যোগ্য নেত্রী মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাকেও। যিনি মায়ের মতো মমতাময়ী, স্নেহপ্রবণ ও অসংখ্য গুণের অধিকারী। আবার জাতির পিতার মতো মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজোদীপ্ত,সাহসী, দেশদরদী ও মহান নেতা। আমরা গর্বিত এমন মাতার জন্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআত্মোপলব্ধি
পরবর্তী নিবন্ধঅসাম্প্রদায়িক সরকারের আমলে কেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা