বঙ্গবন্ধু : বিশ্ব ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | বৃহস্পতিবার , ১৭ মার্চ, ২০২২ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ


এটি সর্বজনবিদিত যে, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া নামক এক অজপাড়াগাঁয়ে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কালের পরিক্রমায় তিনি হয়ে ওঠেছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা; হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি; স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি; মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই মহান ব্যক্তি এখন শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নন; পৃথিবী নামক এই গ্রহে মানবিক আদর্শের নির্মাতা, মুক্তি-স্বাধীনতাকামী নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক অবিনাশী আলোকবর্তিকার পথিকৃৎ। জীবন্ত কিংবদন্তী বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, আমি মুজিবকে দেখেছি। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বিশ্বমানচিত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আত্মবিসর্জনের চন্দ্রাতপ স্মারক-লাল সবুজের পতাকা।
বিবিসি বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত বিশ্বব্যাপী বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের জরিপে তিনি বিবেচিত হয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। শ্রোতাদের মতামতের নির্যাস ছিল ‘তিনি ছিলেন বাঙালি জনগণের অন্ধকার আচ্ছন্ন যুগের আলোর বাতিঘর। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বাঙালিদের স্বার্থের জন্য আপোষহীনতা শুধু বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমার মধ্যে নয়; সারা বিশ্বের বাঙালিদেরকে প্রথমবারের মতন ঐক্যবদ্ধ করেন এবং তিনিই তাদের জাতীয়তা দিয়েছেন। সারা পৃথিবীর বাঙালি, যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লালন করেন, তারা এক ব্যক্তির নেতৃত্বের কাছে এই জাতীয়তার জন্য চিরঋণী এবং তিনি শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া অন্য কেউ নন।’ (মিঞা রহমান : ২০১৭)
মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের সুশোভিত সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্ম নেয়া বঙ্গবন্ধুর জীবনপ্রবাহের গতিময়তা এতবেশি বিশাল-ব্যাপক; স্বল্পপরিসরে এই ক্যানভাস-প্রেক্ষাপট আবিষ্কার দুরূহ ব্যাপার বটে। মহান আধ্যাত্নিক পুরুষ শেখ বোরহান উদ্দিন এই শেখ বংশের গোড়াপত্তন করেছিলেন। মোগল আমলের স্মৃতিময় দালানগুলোই অতীতের এই পরিবারের সুদিনের সাক্ষ্য বহন করে চলেছিল। ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “একটা দালানে আমার এক মামা আজও কোনো মতে দিন কাটাচ্ছেন। আর একটা দালান ভেঙ্গে পড়েছে, যেখানে বিষাক্ত সর্পকুল দয়া করে আশ্রয় নিয়েছে। এই সকল দালান চুনকাম করার ক্ষমতা আজ তাদের অনেকেরই নাই। এই বংশের অনেকেই এখন এ বাড়ির চারপাশে টিনের ঘরে বাস করেন। আমি এই টিনের এক ঘরেই জন্মগ্রহণ করি।”
আমরা সম্যক অবগত আছি, ভারতের জাতির পিতা পরম শ্রদ্ধেয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্য-আত্নার অমিয় শক্তিতে বিশ্বাসী অহিংস সংগ্রাম; শান্তি ও কালজয়ী মানবতার জন্য ‘মহাত্না’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর উদ্দেশ্যে বিশ্বজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর আইনষ্টাইন বলেছিলেন, ‘আমাদের তুমিই একমাত্র ভরসা, তোমার পদচিহ্নই আগামীকালের পৃথিবীর কক্ষপথ’। রবীঠাকুর তাঁকে ‘ঋতুরাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। আজ বাঙালির বঙ্গবন্ধু বিশ্বপরিমন্ডলে একই আলোকিত ধারায় সুপ্রতিষ্ঠিত-নন্দিত ও সমাদৃত। বঙ্গবন্ধুর জন্মেই যেন বাঙালি জাতি শুনতে পেয়েছিল রবীঠাকুরের সেই ‘অচেনা’ কবিতার নাদিত নান্দীপাঠ, “রে অচেনা, মোর মুষ্টি ছাড়াবি কী ক’রে/যতক্ষণ চিনি নাই তোরে?/কোন অন্ধক্ষণে বিজড়িত তন্দ্রা জাগরণে/রাত্রি যবে সবে হয় ভোর, মুখ দেখিলাম তোর।”
শৈশব-কৈশোর থেকে প্রচ্ছন্ন প্রকীর্তির আড়ালে দেশপ্রেম, মানবকল্যাণ এবং আত্নপ্রত্যয়ের গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অতুলনীয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ১৪৭৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিপ্লবসূচক নিকোলাস কোপারনিকাস, ১৪৮৩ সালে ১০ নভেম্বর খৃষ্টান ধর্মে প্রোটেষ্টানিজম মতবাদের প্রবক্তা মার্টিন লুথার, ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আমেরিকানদের মুক্তিদাতা জর্জ ওয়াশিংটন, ১৭৭৪ সালের ১০ মে ব্রাহ্মধর্ম মতবাদ ও সতীদাহ প্রথার নিবারক ভারতের নবযুগের প্রবর্তক রাজা রামমোহন রায়, ১৮২০ সালের ১২ মে আর্তমানবতা সেবাধর্মের মাতৃস্বরূপা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল, ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার প্রণেতা আলফ্রেড নোবেলের জন্ম উল্লেখ্য সন-তারিখকে করেছে চিরঞ্জীব এবং চিরস্মরণীয়।
আবৃত প্রচ্ছাদনে ১৮৬১ সালের ৭ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৮৭২ সালের ১১ মে মানবতার সীমাহীন মর্মবেদনা ও জ্ঞানের অপরিসীম অনুসন্ধানী বারট্রান্ড রাসেল, ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর ভারতের জাতির পিতা মহাত্না গান্ধী, ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ মহাজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা জওহরলাল নেহেরু, ১৮৯৯ সালের ২৪ মে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ এই ধরিত্রী সভায় প্রতিপদস্বরূপ আর্বিভূত হয়েছিলেন বলেই সমগ্র বিশ্ব হয়েছে পরিকাম্যসমৃদ্ধ। যোগ্যতা-গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ডে গ্রহাণু আবরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদ্যুদর্ষী জন্মও কালোত্তর্ণী পরিকর্ষে অভিনন্দিত।
কবিগুরু রবীঠাকুরের ‘আমি’ শিরোনামে কবিতার প্রথম কয়েকটি পংক্তি যেন বঙ্গবন্ধুর জন্মকেই উৎসর্গ করা। ‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হ’লো সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হ’য়ে।/আমি চোখ মেললুম আকাশে – জ’লে উঠল আলো পুবে পশ্চিমে।/গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম, “সুন্দর” – সুন্দর হ’লো সে।/তুমি বলবে, এ যে তত্ত্বকথা, এ কবির বাণী নয়।/আমি বলব এ সত্য, তাই এই কাব্য।/এ আমার অহংকার, অহংকার সমস্ত মানুষের হ’য়ে।/মানুষের অহংকার-পটেই বিশ্বকর্মার বিশ্বশিল্প।’ বস্তুতপক্ষে বাংলা নামক এই জনপদের সমাজ ইতিহাস সুদীর্ঘ প্রাচীন এবং ভিনদেশী শাসক-শোষকদের নিপীড়ন-নির্যাতন-যন্ত্রণা-বৈষম্যের এতাদৃশী। তেজস্বী এই বাংলার প্রথম স্বাধীন বাঙালি রাষ্ট্রনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণকীর্তন, ত্যাগমহিমার একনিষ্ট ঘনিমার প্রাসঙ্গিকতা অতিশয় দিব্যোদক। জীবনসায়াহ্নে রচিত রবীঠাকুরের কবিতায় যেন বঙ্গবন্ধু খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর জন্মসত্তার যথার্থ উপাদান এবং বিশ্বমানবতার জয়গানে নিজেকে নিবেদন করার স্বয়ম্ভু দর্শন। সমসূত্রে পরিচেয় বিশ্বখ্যাত কবি William Black এর ‘I wander thro’ each charter’d street, Near where the charter’d Thames does flow. And mark in every face I meet. Marks of weakness, marks of woe.’
শৈশবকাল থেকেই গ্রাম্য পরিবেশে সাধারণ মানুষের জীবন কাব্যের নানান পরিচ্ছদে পরিপূর্ণ সুখ-দুঃখের স্মৃতি নিয়েই বঙ্গবন্ধু তাঁর অসাধারণ মানবধর্মী জীবনানুসন্ধানে নিজেকে বিলীন করে দিলেন ত্যাগের মহাসমুদ্রে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের নান্দনিক-মাঙ্গলিক পরিশিষ্টে বাঙালি জাতির অনন্য অহংকার কবি রবীঠাকুর ও নজরুলের অসাধারণ শতবর্ষ ধারণকে বারবার উচ্চারণের আকাঙ্খা নিভৃত করার নয়। বিশ্বের মহাননেতা বঙ্গবন্ধু কৈশোর থেকে শুরু করে সারাটা জীবন ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর যে আদর্শিক চেতনার উম্মেষ ঘটিয়েছেন; বাঙালির হৃদয় গভীরে সুদৃঢ় প্রোথিত কবি রবীঠাকুর ও নজরুলের কাব্য পাঠোদ্ধারে বঙ্গবন্ধুকে শুধু শতবর্ষে নয়; শত শত বছর পরেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় আদর্শ প্রচারিত হবেই।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপট পর্যালোচনায় দ্রোহী-সংগ্রামী চেতনা উন্মেষে নিহিত কারণগুলো অত্যন্ত সুস্পষ্ট। মার্কিন কূটনীতিক Archer K. Blood, The Cruelbirth of Bangladesh গ্রন্থে লিখেছেন, `Since independence real political control of Pakistan was in the hands of particular three groups from West Pakistan-military, the upper ranks of the civil servants and a small number of wealthy industrialists. East Pakistan’s numerical superiority was nullified by the failure of parliamentary democracy to take effective root in Pakistan, as it had in India. The highly centralized, often authoritarian structure of Pakistan government in the West Wing resulted in West Pakistan getting the lion’s share of foreign assistance and internal development funds.’
যে অসাধারণ অমিয় বাণীটি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বসভায় অত্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে সুমহান মর্যাদায় আসীন করেছে তাহলো তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে স্বগতোক্তি, ‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনৈতিক এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’ অতএব বলা যেতে পারে বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বিশ্বমানবতা এবং অবিচল মানবধর্মের অগ্রগণ্য স্রষ্টা। বঙ্গবন্ধু মানস বিশ্লেষণে এটিই দীপ্যমান উদ্ভাসিত যে, তিনি সকল ধর্ম-বর্ণ-দলমতের উর্ধ্বে এক কালজয়ী মহামানব। বাংলাদেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় প্রগতিশীল সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী আবুল ফজলের ভাষায়, ‘বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উচ্চারিত নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের ইতিহাসের তিনি শুধু নির্মাতা নন, তাঁর প্রধান নায়কও। ঘটনাপ্রবাহ ও নিয়তি তাঁকে বার বার এ নায়কের আসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বলা যায়, যেন হাত ধরে টেনে নিয়ে গেছে। শত চেষ্টা করেও তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। ইতিহাস দেয় না তেমন কিছু করতে। ইতিহাস নিজের অঙ্গ নিজে করে না ছেদন। শেখ মুজিব ইতিহাসের তেমন এক অচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলাদেশের শুধু নয়, বিশ্ব-ইতিহাসেরও’।
বস্তুতপক্ষে বিস্ময়কর চরিত্রের বঙ্গবন্ধু নামের এই মহান পুরুষের বিশ্বে কোন বিকল্প নেই। তিনিই একমাত্র তাঁর বিকল্প প্রতিচ্ছবি হতে পারেন। আধুনিক মানব সভ্যতার মনন-সৃজনশীল-দেশপ্রেম-মাটি ও মানুষের প্রতি অপরিমেয় মমত্ববোধের স্পন্দিত অধ্যায় রচনায় শেষ গন্তব্য পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিখ্যাত থাকবেন – নি:সঙ্কোচে তা ব্যক্ত করা মোটেও অযৌক্তিক বা অমূলক নয়। ১৭ মার্চ এই মহামানবের জন্ম বার্ষিকীর শুভক্ষণে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, ১৯৪৮-৫২ সাল থেকে ভাষা আন্দোলন-দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন, দুই লক্ষ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ সম্ভ্রমের বিনিময় এবং আহত ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সকল অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বস্তুতপক্ষে বিস্ময়কর চরিত্রের বঙ্গবন্ধু নামের এই মহান পুরুষের বিশ্বে কোন বিকল্প নেই। তিনিই একমাত্র তাঁর বিকল্প প্রতিচ্ছবি হতে পারেন। আধুনিক মানব সভ্যতার মনন-সৃজনশীল-দেশপ্রেম-মাটি ও মানুষের প্রতি অপরিমেয় মমত্ববোধের স্পন্দিত অধ্যায় রচনায় শেষ গন্তব্য পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিখ্যাত থাকবেন – নিঃসঙ্কোচে তা ব্যক্ত করা মোটেও অযৌক্তিক বা অমূলক নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়ন ভাবনা
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় পাচারকালে আকাশমনি গোলকাঠ জব্দ