‘ওই মহামানব একবার এসো ফিরে’

ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী | বৃহস্পতিবার , ১৭ মার্চ, ২০২২ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ


‘ওই মহামানব একবার এসো ফিরে, শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম-শহরে ভীড়ে…’ সুকান্ত ভট্টাচর্যের কবিতার এই আকুল আকুতিতে মহামানব বঙ্গবন্ধু চোখ মেলবে না। তিনি শুয়ে আছেন টুঙ্গীপাড়ার নিভৃত ছায়া-সুনিবিড় কোলে। ঘাতকের মরণাস্ত্রের নল থেকে নির্গত নির্মম বুলেট তাঁর বুক-শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। এখন তাঁর প্রশান্ত-নিশ্চিত নিদ্রা। বরেণ্য গীতিকবি হাসান মতিউরের অমর সৃষ্টি ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই/যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো/বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই/তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা/আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা…। শত আকুতি, ক্রন্দন, শত আর্তনাদে বঙ্গবন্ধু জীবিত অবস্থায় ফিরে আসবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে মহামানব কিংবদন্তি কোটি বাঙালির হৃদয় স্রোতে চেতনার বাতিঘর ও ধ্রুবতারা হয়ে বার বার লক্ষ কোটি বার ফিরে আসবেন।
বঙ্গবন্ধু কেন মহামানব? পৃথিবী বিখ্যাত গণমাধ্যম নিউজউইক- যেটির রাজনীতিকে প্রভাবিত ও চালিত করার ক্ষমতা অবিসাংবাদিত, ওই সাময়িকী বঙ্গবন্ধুকে তকমা দিয়েছিলেন- ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ রাজনীতির কবি। তাঁকে নিয়ে নিউজউইক কভার স্টোরি করেছিলো বাংলা বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সময় ১৯৭১ সালে- মহান মুক্তিযুদ্ধের তুঙ্গ পর্যায়ে। আর এই প্রতিবেদন বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেয় বিশ্ববাসীর হৃদয়ের নিভৃত বন্দরে। বাংলাদেশের মানুষের মরণজয়ী অনমনীয় সংগ্রাম বিশ্বজনীন ইস্যুতে রূপান্তরিত করে। বাংলা-বাঙালির-মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু দখল করে নেয় সমগ্র বিশ্ববাসীর মন।
বঙ্গবন্ধু আমদের জাতির পিতা। মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা-বাংলাদেশ এই শব্দত্রয়ের সমার্থক। যুগে-যুগে দেশে-দেশে পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতায় যারা মানুষের মুক্তির দূত-ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন- যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ্লাদিমির ইলিচ লেলিন, চীনের মাও সে তুং, ইতালির গ্যারিবল্ডি, ভারতের মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধী, যুগস্লাভিয়ার মার্শাল টিটো (জোসিপ ব্রজ টিটো), ইন্দোনেশিয়ার সুকর্নো, বার্মার অং সান, ভিয়েতনামের হো-চি-মিন- তাঁদের কাতারেই সামিল এবং বদ্ধমূল অবস্থান নিয়ে দেদীপ্যমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর স্বাতন্ত্র-বিশেষত্ব-মহত্ব ও মৌলিকত্ব কী? কোথায়? কোনখানে? ভাবতে হবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম-মৃত্যুর সময়ের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অভিঘাত।
বঙ্গবন্ধু এক সময়ে এমন এক জনপদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যখন কৃষিভিত্তিক পশ্চাদপদ-অনগ্রসর অঞ্চল ছিলো উপনিবেশিক শাসন-শোষণে জর্জরিত। এক বনেদি ঐতিহ্যবাহী সুফি পরিবারে জাতক খোকা নামের ওই যুগান্তর অলৌকিক নেতৃত্বদানের প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতা সম্পন্ন সীমাহীন সাহসীজনের জীবন ছিল কণ্টকাকীর্ণ। সম্পন্ন গৃহস্থ ঘরের সন্তানটি জন্ম থেকে প্রাপ্ত বেরিবেরি রোগের কারণে- যার স্বাভাবিক জীবন ছিলো ব্যহত, তাঁর শৈশব-কৈশর ও ছাত্রত্ব থেকে শুরু করে যৌবনের বাঁকে বাঁকে ছিলো নেতৃত্ব বিকাশের জঙ্গম প্রক্রিয়া ও বাঁক। শৈশবেই বিশেষ সাহসী ভূমিকার জন্য চোখে পড়ে গিয়েছিলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর। শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক ও মওলানা ভাষানীর ছিলেন স্নেহভাজন। কালক্রমে সমকালীন ঘটনার ঘনঘটায়, ঘাত-প্রতিঘাতে, যুদ্ধ-সংগ্রামে, ব্যক্তিত্বে, নিরাপোষ গুণাবলীর নিরিখে বঙ্গবন্ধু তাঁর জ্যেষ্ঠ বা কণিষ্ঠ সকল নেতাকে ছাপিয়ে-ছাড়িয়ে মহা-মহিম অবস্থানে হিজেকে স্থাপন করেন। এজন্যে তাঁর রাজনৈতিক সজ্ঞা (Intuition), প্রজ্ঞার দুর্লভ চরিত্র ছিলো নিয়ামক শক্তি।
রুশ বিপ্লবের মাহেন্দ্রক্ষণ কেন ১৯১৭ সালের ১৭ অক্টোবর? এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসার জবাবে লেলিন বলেছিলেন, ১৯০৫ সালে একটি ব্যর্থ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিলো। তাই ওই অভিজ্ঞতার আলোকেই ওই যথার্থ সময়ে বলশেভিক বিপ্লব। আর এ সময় নির্ধারণী যথার্থ বিবেচনার ফলসরূপ ১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লব শ্রেণিহীন সমাজ ব্যবস্থা সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা।
আমাদের রক্তক্ষয়ী মহামহীম মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সোপান হলো- ৫২’র ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন ছিলো বাঙালি জাতিসত্তার সচেতননতা। বাঙালি উপলব্ধি করেছিলো তারা কোনো ভূঁইফোঁড় জাতি নয়। তাদের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। নৃতাত্ত্বিকভাবে পরিচিত বাঙালির রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও শিল্পকলা। বাঙালি জাতিসত্তা ও বাংলা ভাষার ক্রমবিকাশমান অস্তিত্ব ও সনাক্তকরণের চিৎকার যে প্রতিবাদ ছিলো রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারের রক্তের প্রবাহ।
বঙ্গবন্ধুকেও নিজের দলের বিভিন্ন প্রেসার গ্রুপ থেকে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু অপিরিসীম রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় তিনি ৭ মার্চের ভাষণে বলেন, “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, তোমাদের যা কিছু আছে, তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।” কিংবা “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” এই পরোক্ষ ও কৌশলী উচ্চারণ ছিলো বস্তুত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। তিনি তাঁর মত করেই বলেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রকৃত ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে, গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে। বাঙালির অধিকার আদায়ের ব্রতী বঙ্গবন্ধু আপসহীনতার ও জীবনঝুঁকির সর্বোচ্চ প্রমাণ দিলেন। যেমনটি ইতোপূর্বের দু’দশক নির্বিচারে তাঁর জেলজীবন প্রমাণ করে।
মহান হো চি মিনের মরণজয়ী সংগ্রামের সঙ্গে বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাগত ও ভাবগত সাদৃশ্য বিদ্যমান। কেননা বাঙালিরা মূলত একটি শান্তিপ্রিয় জাতি। ৯ মাসের কঠিন মহাসময়ে তাদের নিয়ে এসেছিলেন মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
গণচীনের মহান স্থপতি কমরেড মাও সে তুং লংমার্চ বা জনযুদ্ধ- গ্রাম দিয়ে শহর ঘোরাও কর্মসূচির মাধ্যমে বিপ্লব সংঘটিত করেছিলেন। বাঙালির মহান নেতা “ভাতে মারবো, পানিতে মারবো…”, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব” এই ইস্পাত কঠিন উচ্চারণের কারণে বাংলার গ্রাম-নদী-শহর প্রতিটি প্রান্ত উত্তপ্ত করে জ্বলন্ত শলাকায় রূপান্তর করেছিলেন, আর একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ভূমি অর্জনের মন্ত্র দিয়ে, একটি নতুন পতাকা উপহার দিয়েছিলেন। হাজার বছরের নিগৃহীত একটি জাতি, চিন্তাবিদ আহমদ ছফার মতানুযায়ী একটি জাতিকে ব্যক্তিত্ব অর্জনের সামর্থ দিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুকে নিশ্চয়ই মহামানব অভিক্ষায় অভিসিক্ত করা যায়। মুক্তিসংগ্রামের নিরঙ্কুশ নেতায় পরিগণিত হয়েছিলেন দেশ-বিদেশ সর্বমহলে। এই রাজনৈতিক ধীশক্তির কারণেই বঙ্গবন্ধু এক অসামান্য তুলনারহিত সত্যাগ্রহ।
ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ছিলো অহিংস আন্দোলন, আর বঙ্গবন্ধুর ডাকে হয়েছিল ‘ সর্বাত্নক অসহযোগ আন্দোলন।’ গান্ধীকে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে হয়নি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্যমুখি ছিলো এই রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর তা সম্পূর্ণ সফল হয়েছিল। মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নপ্রসূত অহিংস আন্দোলন, লবণ আন্দোলন, খাদি, তাঁতশিল্প কর্মসূচির ভিন্নতর ও আরো ব্যাপক কার্যকর মাত্রা হলো অসহযোগ আন্দোলন। যা ক্রমে জন-বিপ্লবে রূপান্তরিত হয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে জনযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মতো মহামানবের পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধের দিকে ধাবিত করার মনস্তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক প্রাণোদনা সঞ্চার করে স্বার্থকতার চূড়ান্ত বিজয় অর্জন নিশ্চিতে।
হো চা চা বা হো চি মিন’র নেতৃত্বে ভিয়েতনামের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিলো দীর্ঘ সময়ব্যাপী রক্তক্ষয়ী প্রক্রিয়া। ভিয়েতনামিরা মূলত ক্ষীণ দেহাবয়বের নিস্তেজ এক জাতি। হো চি মিন তাঁদের চেতনার অগ্নিমশাল প্রজ্বলন করে এমন লড়াকু শক্তিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। যারা মার্কিন সাম্রজ্যবাদের মতো শক্তিধর দানবকেও নাকানি-চুবানি খাইয়েছিলেন। আমেরিকানরা শেষ পর্যন্ত লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
বাঙালির ছেলে বিজয় গুপ্ত লঙ্কা জয় করেছিলো। ভাবা যায়! কোনো আদিকালে একদিন বীর বাঙালি উপনিবেশ স্থাপন করেছিলো শ্রীলংকায়।
সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, গিরি কুন্তলা আমাদের এই বাংলা। এই ভাটি বাংলা গাঙ্গের ব-দ্বীপের উর্বর এক অঞ্চল। বাঙালি ও বাঙালিত্ব মানেই গোলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গরু। প্রাচীন গ্রাম প্রধান সমাজে প্রতিটি গ্রামই ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। বহির্বিশ্বে বাঙালির পরিচিতির স্মারক ছিল মসলিন, জামদানি আর বিবিধ মশলার প্রাচুর্যের কারণে।
বাঙালি শান্তিপ্রিয় জাতি। প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকে সমতট, বরেন্দ্র, হরিকেল, গৌড়- এই চতুর্ভাগে স্বতন্ত্র নাম নিয়ে অবস্থান ছিলো বৃহৎ বাংলায়। মিলবে আর মিলিবে- এ মন্ত্র ধারণ বিবিধ চিন্তা, ধর্ম এসে একীভূত হয়েছে এক মৈত্রী, সৌহার্দ্য আর সহাবস্থানের মোহনায়। চিরকাল বাংলাদেশ ছিল অসাম্প্রদায়িক এক জনপদ। ব্রিটিশ বেনিয়ার দ্বি-জাতি তত্ত্বের অপকৌশলের ফলে এক অপরিণামদর্শী বিভাজনের কারণেই আমাদের এই সবুজ-শ্যামল দেশটিতে এতো সাম্প্রদায়িক ভ্রাতৃঘাতী বিভেদ হানাহানি।
এ বাংলায় যুগে যুগে কীর্তিমান পুরুষের আবির্ভাব হয়েছিলো দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে। বিবিধ বিপ্লব-বিদ্রোহে প্রকম্পিত হয়েছিল এই বঙ্গভূমি। বাঙালির গৌরবের ইতিহাসে স্বার্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে কৈবর্ত বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ, ফরায়েজী আন্দোলন এবং আরো আরো প্রান্তিক মানুষের উপপ্লবে। সেই বিস্ফোরণসমূহে যারা অনুঘটক (Catalysts) নেতৃত্বের আসনে সমাসীন ছিলেন- যেমন হাবিলদার রজব আলী, নুরুলদীন, রাণী ভবানী, তিতুমীর, হাজি শরীয়ত উল্লাহ, সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা, আর রাজনীতিতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, সুভাস চন্দ্র বোস, এ. কে. ফজলুল হক ও মাওলানা ভাসানী প্রমুখ। এদের সার্থক উত্তরসূরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্য নেতারা যদি আদর্শিক পুরুষ হন, তাহলে আমরা সর্বাত্নকভাবে ঘোষণা করতে পারি বঙ্গবন্ধু নিশ্চয়ই মহামানব, পুরুষোত্তম।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক; সাবেক ডিন,কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ, চট্টগ্রাম বশ্ববিদ্যালয়।

ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ছিলো অহিংস আন্দোলন, আর বঙ্গবন্ধুর ডাকে হয়েছিল ‘সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন।’ গান্ধীকে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে হয়নি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্যমুখি ছিলো এই রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর তা সম্পূর্ণ সফল হয়েছিল। মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নপ্রসূত অহিংস আন্দোলন, লবণ আন্দোলন, খাদি, তাঁতশিল্প কর্মসূচির ভিন্নতর ও আরো ব্যাপক কার্যকর মাত্রা হলো অসহযোগ আন্দোলন। যা ক্রমে জন-বিপ্লবে রূপান্তরিত হয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে জনযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোকান ও মার্কেটে বাংলায় নামফলক প্রচলনে প্রচারণা
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়ন ভাবনা