ফুটপাতে হকারদের পণ্যের পসরা

পটিয়ায় পথচারীদের হাঁটতে হয় রাস্তায়, দুর্ভোগ

শফিউল আজম, পটিয়া | বৃহস্পতিবার , ৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখল করে হকাররা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসছে। অনেক হকার পটিয়া পৌরসভার কোটি টাকায় নির্মিত নালা ও ফুটপাত দখল করে দিনে রাতে ব্যবসা করছে। এতে করে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পথচারীরা ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না পেয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া পথচারীদের সাথে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন চালকদের সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

পটিয়া পৌরসদরের গুরুত্বপূর্ণ শহীদ ছবুর রোড, থানার মোড়, স্টেশন রোড, ক্লাব রোড, আদালত রোড, প্রীতিলতা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের এটা এখন নিত্যনৈমেত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে চরম দুর্ভোগ পোহালেও এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বললেই চলে। বর্তমানে ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাবিক্রেতায় সরগরম এসব সড়কগুলোতে দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

দোকান মালিক সমিতি পটিয়া শাখার সভাপতি এম এ ইউছুফ বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত রেখে ক্রেতা বিক্রেতা যাতে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে তার জন্য দোকানদারদের বলা আছে। তারপরও তারা তা মানছে না। তিনি আরো বলেন, গত এক সপ্তাহ পূর্বে পটিয়ার এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দীন ভুঁইঞা জনী উপজেলা মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে বলে দিয়েছেন। এছাড়া পটিয়া থানার ওসিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারপরও এ সমস্যা এখনো থেকে গেছে।

ক্ষুব্ধ পথচারীরা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফুটপাত কি হকারদের লিজ দেয়া হয়েছে ? নাকি ফুটপাতে হকার ও উপজেলা প্রশাসনের দ্বৈত শাসন চলছে? না হলে হকাররা জনগণের হাঁটার পথ বন্ধ করে কিভাবে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য রেখে দুর্ভোগ সৃষ্টির সাহস পায়।

দূর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে পটিয়া পৌরসভার মেয়র মো: আইয়ুব বাবুল বলেন, ফুটপাত দখল মুক্ত করতে ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে গত বছর আমি উদ্যোগ গ্রহণ করি। এ উদ্যোগ নিয়ে প্রথমেই আমি আদালত রোডে হকার মুক্ত ও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করি। হকারদের প্রাথমিকভাবে পৌরসভা কিচেন মার্কেটে ব্যবসা করার সুযোগ দিই। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহল হকারদের উস্কে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করিয়েছে। এভাবে হলে তো এর সমাধান আসবে না। তারপরও জনগণের অভিযোগ পেলে পৌর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে জানতে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দীন ভুইঞা জনীকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসো’র ইফতার মাহফিল