ফিনিশ প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব

| শুক্রবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য আরও বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। গত বুধবার ‘ফিনল্যান্ড বাংলাদেশ বিজনেস ইভেন্ট অন বাইল্যাটেরাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন দ্য অনগোয়িং গ্লোবাল প্যানডেমিক অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই আলোচনা হয়। খবর বিডিনিউজের।
রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই-আইকন টাওয়ার থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেন। অপরদিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফিনল্যান্ডের ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন অ্যান্ড ফরেন ট্রেড বিষয়ক মন্ত্রী ভিল স্কিনারি।
বাংলাদেশের এফবিসিসিআই ও ফিনিশ চেম্বার অফ কমার্সের (ফিনচ্যাম) যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এফবিসিসিআই। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারে ব্যবসায়ী পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। ফিনিশ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও তাদের কারখানা গড়ে তুলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও তাদের পণ্য রপ্তানি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যেসব ইউরোপীয় দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে ফিনল্যান্ড অন্যতম। বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বাণিজ্য সামপ্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা ফিনল্যান্ডে আরও পণ্য রপ্তানির সুযোগ নিতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, করোনার কারণে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কাঁচামাল আমদানি যেমন কমেছে, তেমনি শিল্প উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে বাণিজ্য আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে মোকাবেলা করা উচিত।
ফিনল্যান্ডের ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন অ্যান্ড ফরেন ট্রেড বিষয়ক মন্ত্রী ভিল স্কিনারি বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারীর আগে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ধীর হলেও বাড়ছিল। আশা করি, দ্রুত পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ভালো সুযোগ রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে আরও ভালো কিছু করতে পারি।
এফবিসিসিআই সভাপতি প্রস্তাব করেন, দ্বিপাক্ষিক ভ্যালু চেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা উন্নয়ন, ফলিত গবেষণাসহ বিভিন্ন খাত এবং বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখার মাধ্যমে বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া যায়। ওয়ার্টসিলার মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও সংযোজনের সুযোগ নিতে পারে।
ফিনল্যান্ড থেকে যেসব পণ্য বাংলাদেশে আসে, তারা সেগুলো ধীরে ধীরে বাংলাদেশে তৈরি করা শুরু করতে পারে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়, সেগুলো বাংলাদেশে তৈরি করে এখানেই ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি আশপাশের বাজারে রপ্তানি করতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাপানের পাঠাগারে বই জীবাণুমুক্ত করছে অতিবেগুনী রশ্মি
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৩৪.৯৮ কোটি টাকা