ফটিকছড়িতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে জুনায়েদ (৬) এবং পল্লব উরাং (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু জুনায়েদ ভূজপুর ইউপির আমতলী শামসুদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ির দুবাই প্রবাসী মো. রুবেলের ২য় পুত্র। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে পূর্ব ভূজপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরে হারুয়ালছড়ি রাঙ্গাপানি চা বাগানের উরাং পাড়ায় পল্লব উরাং (৬) নামে আরো এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়। শিশুটি ওই এলাকার রুবেল উরাং এর ছেলে এবং রাঙ্গাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
জুনায়েদের ব্যাপারে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুনায়েদ দুপুরে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায়। অনেকক্ষণ ধরে তাকে দেখতে না পেয়ে পুকুরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার মরদেহ ভেসে উঠে। তাকে উদ্ধার করে ভূজপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পল্লব উরাং এর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তার পিতা রুবেল উরাং বলেন, আমার ছেলে দুপুরে গোসল করার জন্য পুকুরের গিয়েছিল। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়াতে আমরা ভেবেছি হয়তো অন্যদের সঙ্গে খেলাধুলা করছে। ভাবতেই পারিনি আমার ছেলে এভাবে পুকুরে ডুবে মারা যাবে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সচেতন মহল বলছে, যত্রতত্র পুকুর এবং অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে ফটিকছড়িতে বারবার পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে প্রতিবছর অন্তত ২০–৩০টি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
এদিকে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার আজাদীবাজার এলাকার রনজুরহাট সংলগ্ন অলি আহমদ বাড়িতে টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে পড়ে মো. রোহান (৫) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোহান ওই এলাকার প্রবাসী মো. শাহজাহানের ১ম সন্তান এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগের শিক্ষার্থী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোহানের মামা মো. আব্বাস বলেন, আমার বোনের পার্শ্ববর্তী ফুফু–শাশুড়ির ঘরে টয়লেটের সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ঢাকনি তুলে সেখানে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। ভাগনে রোহান বেশিরভাগ সময় ওই ঘরেই থাকে। আজকে দুর্ভাগ্যবশত সে টাংকিতে পড়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন।