প্রয়োজনে সামাজিক কর্মসূচি বাড়বে : কৃষিমন্ত্রী

১৪ বছরে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি

| শনিবার , ৩ জুন, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রয়োজন হলে অন্য খাতের বরাদ্দ স্থগিত করে মানুষের ‘খাদ্যের কষ্ট’ দূর করা হবে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দ নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৪ বছরের শাসনামলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। চলতি বাজেটে এই খাতের বরাদ্দ আরও বাড়ানো হয়েছে। এই কর্মসূচি আগেও ছিল। চলতি অর্থবছরেও থাকবে। সামাজিক খাতে আমাদের বরাদ্দ আগে ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা। গত বছর সেটা এক লাখ কোটি টাকার বেশি ছিল। এবারের বাজেটে সেটা এক লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই নীতি অবলম্বন করে দেশ শাসন করছেন মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ৫০ লাখ পরিবারকে আগে ১০ টাকা কেজিতে এখন ১৫ টাকায় চাল দিচ্ছি। এ বছর পরিস্থিতির কারণে এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে তেল চিনি ও বিভিন্ন খাদ্য পণ্য দেওয়া হয়েছে। কাজেই আমি নিশ্চিত করতে চাই, সামাজিক সুরক্ষার বিষয়গুলো বাজেটে আছে এবং এগুলো অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যদি খাদ্যের উৎপাদন কমে যায়, সেই ক্ষেত্রে অন্য কর্মসূচি স্থগিত রেখে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে মানুষের খাদ্যের কষ্ট দূর করা হবে। একটি মানুষ যেন খাদ্যের অভাবে না মারা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটা বার বার বলেছেন। সুতরাং দরিদ্র্য মানুষের জন্য এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশে প্রতি বছর মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছিল বলে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছিল দাবি করে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক বলেন, গত ১৪ বছরে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ২০০৯ সাল থেকে আমরা যতগুলো বাজেট দিয়েছি, সবগুলো গরিববান্ধব ছিল। বাজেটের সব সময় লক্ষ্য ছিল সামাজিক সুরক্ষা খাতে, কম মূল্যে খাদ্য দেওয়া, বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়া, কাজের বিনিময়ে খাদ্য দেওয়া। এই কর্মসূচিগুলো অতীতে ছিল, আমরা ধারাবাহিকভাবে বাড়িয়েছি। ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, সারিয়াকান্দি (বগুড়া), সরিষাবাড়ী (জামালপুর), মাদারগঞ্জ (জামালপুর) এসব এলাকায় দুর্ভিক্ষ হতো, মানুষ না খেয়ে মারা যেত। কিন্তু গত ১৪ বছরে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। এ ধরনের কোনো নিউজ হয়নি যে কোথাও কেউ অভুক্ত আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর উন্নয়নে ১৮ প্রকল্পে বরাদ্দ ৭ হাজার ২০৯ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধবাজেট গরিববান্ধব গণমুখী, সমালোচনা গৎবাঁধা : তথ্যমন্ত্রী