প্রস্তুত নগরীর শপিংমল মার্কেট, অপেক্ষা ক্রেতার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

ঈদকে সামনে রেখে বর্ণিল সাজে সেজেছে নগরীর বিভিন্ন শপিংমল-মার্কেট। ইতোমধ্যে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ব্যবসায়ীরা নানা বয়সী নারী পুুরুষের জন্য দেশি বিদেশি ফ্যাশনেবল পোশাকের সংগ্রহ নিয়ে এসেছেন। এবারের ঈদ যেহেতু গ্রীষ্ম মৌসুমে, তাই সুতি কাপড়ের পোশাকের চাহিদাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এর বাইরে বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি, পাঞ্জাবী, থ্রি-পিস, হাল আমলের তরুণীদের পছন্দের টপস, সারারা-গারারা এবং গাউন ড্রেসও সংগ্রহে রেখেছেন অনেকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছি। তবে এখনো ঈদের বেচাবিক্রি ওই অর্থে শুরু হয়নি। বলা যায়, ব্যবসায়ীরা এখন ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন। এছাড়া এবার যেহেতু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে অনেক বেশি চাঙা।
গতকাল নগরীর টেরীবাজার, নিউমার্কেট বিপণি বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশ্যান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ক্রেতারা অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন। কিছু কিছু দোকানে অবশ্য বেশ কয়েকজন ক্রেতাকে দেখা যায়। এদেরই একজন গৃহিনী ঈশিতা সুলতানা। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদে মার্কেটে পোশাকের সংগ্রহ কেমন সেটি দেখার জন্য এসেছি। এছাড়া পছন্দ হলেও কিনে নেবো ভাবছি। তবে এ বছর পোশাকের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। নগরীর তামাকুমণ্ডি লেইনে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জাফরিন নেওয়াজের সাথে। তিনি বলেন, বান্ধবীর সাথে ঈদ মার্কেটে ঘুরতে এসেছি। গত দুই বছর তো করোনার বিধিনিষেধের কারণে ভালোভাবে শপিং করতে পারিনি। তবে এ বছর যেহেতু সেই ভয় নেই, তাই একটু আগেভাগে এসে পোশাকের সংগ্রহ দেখতে এসেছে। এ বছর অনেক নতুন নতুন ডিজাইনের ফ্যাশেনেবল ড্রেস দেখা যাচ্ছে। তবে বিক্রেতারা দাম একটু বেশি হাঁকছে।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির অধীনে প্রায় ১১০টি মার্কেট আছে। এসব মার্কেটে তৈরি পোশাক, প্রসাধনী সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, থান কাপড়সহ নানা ধরণের দেশি বিদেশি পণ্যের সমাহার রয়েছে। গত দুই বছর ব্যবসায়ীরা করোনার কারণে ব্যবসা হারিয়েছে। তাই এ বছর আমরা ঈদের মার্কেটের দিকে তাকিয়ে আছি। করোনা পরিস্থিতি যেহেতু নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, আমরা আশা করি বেচাবিক্রি ভালো হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা সব ধরণের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। এছাড়া আমরা সমিতির পক্ষ থেকেও আগত ক্রেতাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। ঈদের বেচাবিক্রি পুরোদমে শুরু হয় রোজা ১৫টির পরে। তবে এখন অনেকে আবার ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা সারা বছর এই একটি মাসের দিকে থাকিয়ে থাকি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি গত দুই বছরে প্রতিকূল থাকায় আমরা প্রচুর লোকসান দিয়েছিলাম। তবে এবার সেই পরিস্থিতি থেকে অনেকটা বের হয়ে আসতে পেরেছি মনে হচ্ছে। ঈদের প্রস্তুতি ব্যবসায়ীরা সেরে নিয়েছেন, এখন মূলত ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
সানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা শতভাগ প্রস্তুতি নিয়েছি। এ বছর ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির প্রচুর লোকসান দিতে হয়েছে। আশা করি এ বছর ঈদে জমজমাট ব্যবসা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপানিতে ডুবে কেন এত শিশুমৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬