বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী দুদিন আগে বাংলাবাজার এলাকায় প্রচারণায় গিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এ নিয়ে ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘রিকশায় করে যাবেন, যেমন করে পারেন ভোট দেয়ার জন্য… কারণ ইভিএমের ভোট। ইভিএম না হলে সব আমি মেরে দিতাম। কাউকে খুঁজতাম না। কথা বুঝেন নাই। ইভিএমে আইডি কার্ড না ঢোকালে হয় না। ওটা হলে ভোট আমি রাতেই নিয়ে নিতাম। তাই আপনাদের কষ্ট করে সেটা (এনআইডি) নিয়ে যেতে হবে। মেশিনে ফিঙ্গার দিতে হবে। আমি তো প্লেয়ার ওইটা, একেবারে ২০ হাজার নিয়ে ফেলি। সরকার ইভিএম একটা করছে, কী করব…। কষ্ট করে নিয়ে গিয়ে আঙুলে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। চাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি চাপ দেয়ার মানুষ রাখব। আমার জন্য একটু দোয়া করবেন সবাই।’
এ ব্যাপারে মুজিবুল হক চৌধুরীকে শো’কজ করা হয়েছে। ভিডিওর ব্যাপারে প্রার্থী মুজিবুল বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটা আমার না। আমি এমন কোনো বক্তব্য রাখিনি। আমার প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে এডিট করে এসব ছড়াচ্ছে। আমার জনপ্রিয়তা ও গণজোয়ার দেখে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে।
চাম্বলের দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা রকর চাকমা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা ভিডিও নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীকে শো’কজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, এই ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা পেয়েছি। যাচাই বাচাই করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঁশখালীর ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, চাম্বলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যাপারে তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো চিঠি পাইনি। নির্দেশনা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।