পেট্রোল পাম্পে হাহাকার

আজাদী ডেস্ক | শনিবার , ৬ আগস্ট, ২০২২ at ৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণার পরপরই বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু ফিলিং স্টেশন। আর বাকিগুলোতে আগের দামে তেল কেনার চেষ্টার দীর্ঘ লাইন সড়কে গিয়ে ঠেকেছে। এতে নতুন দর কার্যকরের দুই ঘণ্টা আগে তেল নিতে আসা চালকরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম একলাফে অনেকটা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। যা রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
এ খবর জানাজানি হওয়ার পরপরই চট্টগ্রামের দামপাড়া সিএমপি ফুয়েল স্টেশন, আতুরার ডিপো এস এইচ খাঁন পেট্রোল পাম্প ও কাতালগঞ্জের হাজী মো. ইউনুস এন্ড কোং পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দেখা যায়, এসব পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় কিছু গ্রাহককে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা করতেও দেখা যায়। এছাড়া কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা ধীরগতিতে তেল বিক্রির কৌশল নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় সেখানে শত শত গাড়ি জড়ো হয়ে থাকতে দেখা যায়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল শুক্রবার দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাত ১০টায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে।
একলাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম ৫১.১৬% বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয়েছে ১৩০ টাকা। আর অকটেনের দাম বেড়েছে ৫১.৬৮%, প্রতি লিটার কিনতে গুনতে হবে ১৩৫ টাকা। শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

তেলের দাম বাড়ানোর খবরের পর থেকে চট্টগ্রামের সব এলাকার তেলের ফিলিং স্টেশনগুলোতে মোটরবাইকসহ অনেক গাড়িকে ভিড় জমাতে দেখা যায়। যেসব পাম্প সাধারণত সারারাত খোলা থাকে না সেগুলো তড়িঘড়ি করে আগেভাগেই বন্ধ করে দেয়। আবার সারারাত খোলা থাকা পাম্পের অনেকগুলোকে তেল দিতে গড়িমসি করতে দেখা যায়। আর যেগুলো তেল দেওয়া চালু রাখে সেখানে মোটরবাইকসহ অন্য গাড়ির উপচে পড়া ভিড় লেগে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা