যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি ঘোষণা করেছে, পুরো ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার পর আমেরিকার মানুষ কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাদের পুরোপুরি টিকা নেয়া হয়ে যাবে তারা টিকা সম্পূর্ণ হওয়া অন্যদের এবং টিকা হয়নি এমন ব্যক্তিদের সাথে দেখা করতে পারবে। টিকার শেষ ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর তারা করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষিত বলে সিডিসি জানাচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।
এ পর্যন্ত আমেরিকায় তিন কোটি মানুষকে পুরো ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের নির্দেশনায় সুপারিশ করা হয়েছে, পুরো ডোজ টিকা নেয়া আমেরিকার মানুষ মাস্ক ছাড়া এবং সামাজিক দূরত্ব না মেনে ঘরের ভেতর অন্যদের সাথে মেলামেশা করতে পারবে। টিকা হয়নি এমন অন্য একটি পরিবারের সাথে মেলামেশা করতে পারবে, যদি স্বাস্থ্যগত কারণে ভাইরাস থেকে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি তাদের না থাকে। কোভিডের উপসর্গ দেখা না দিলে, কোভিড সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এলেও তাদের পরীক্ষা করাতে বা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
তবে এরপরও তাদের কিছু মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো : জরুরি নয় এ ধরনের ভ্রমণ এবং অনেক মানুষের ভিড় তাদের এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সিডিসি বলেছে, টিকা নেওয়া মানুষ, যারা টিকা নেননি তাদের সংক্রমিত করতে পারে এমন ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। কারণ টিকা নেয়া ব্যক্তির রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, টিকা হয়নি এমন কোনো ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে সংক্রমিত হলে যদি কোভিড-১৯-এ গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাহলে তার সাথে মেলামেশার সময় টিকা হওয়া ব্যক্তির মাস্ক পরা উচিত হবে।
সিডিসির একজন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে বিশ্বের চেহারা কেমন হতে পারে আমরা সেটা ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছি। অনেকের পুরো ডোজ টিকা নেয়া হয়েছে। তাই আমরা স্পষ্ট করতে চাই তারা কী করতে পারবে এবং কী পারবে না। এই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদানের গতি সমপ্রতি বেড়েছে। ফাইজার বায়োএনটেক এবং মডার্নার ভ্যাকসিনের পর এখন জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাও অনুমোদন পাওয়ার পর সরবরাহ বেড়েছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন শুধু এক ডোজ নিতে হবে। তবে ওখানে এখনো প্রতিদিন ৬০ হাজারের ওপর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
