পুরুষ রোগীর নাম রমিজা খাতুন!

হাটহাজারী প্রতিনিধি | শনিবার , ৩ জুলাই, ২০২১ at ৮:৫২ অপরাহ্ণ

হাটহাজারীতে কঠোর লকডাউনের ৩য় দিন চলছিল আজ শনিবার (৩ জুলাই)। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট মহাসড়কের হাটহাজারী বাস স্টেশনে কড়াকড়ি চেক চলছিল। এই সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে রোগী নিয়ে যাচ্ছিলেন এক লোক। চেকপোস্টে উপজেলা প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছিল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে। চেক করার জন্য গাড়ি দাঁড় করানো হলো। যাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় গন্তব্যের স্থান। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রী কর্তব্যরত প্রশাসনকে বলেন, কেন দেখছেন না রোগী নিয়ে যাচ্ছি ডাক্তার দেখাতে। চেকপোস্টে কর্তব্যরত হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রহুল আমিন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখতে চাইলে যাত্রী ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র ইউএনওকে দেখান। চিকিৎসাপত্রে রোগীর নাম লেখা আছে রমিজা খাতুন। রোগীর সাথে ডাক্তারের যে প্রেসক্রিপশন সেটা দেড় বছর আগের। পুরুষ রোগীর নাম রমিজা খাতুন দেখে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট জিজ্ঞেস করেন পুরুষ রোগীর নাম রমিজা খাতুন কেন। রোগীর সাথে থাকা লোকটি বলেন, আগেকার দিনে এই রকম নাম রাখা হতো।
টিমের সদস্যরা যখন প্রেসক্রিপশনে চোখ বুলাচ্ছিলেন তখন অটোরিকশা চালক প্রেসক্রিপশন ফেলেই চোখের পলকে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী নিয়ে চলে যেতে উদ্যত হয়।
ভালো করে চেক করতেই দেখা যায় প্রেসক্রিপশনটা দেড় বছর আগের।
রোগীর সাথে গাড়িতে থাকা লোকটির কাছে জানতে চাইলে তিনি, এই যে উনি আমার চাচা, চাচাই রোগী।
এক বয়স্ক ব্যাক্তিকে দেখা গেল কাহিল কাহিল চোখ করে ইউএনও’র দিকে তাকিয়ে আছেন। বয়স্ক দেখে ইউএনও তাকে সালাম দিলেন। প্রেসক্রিপশন দেখে ইউএনও বলেন কিন্তু প্রেসক্রিপশনে তো লেখা রমিজা খাতুন। চাচার নাম কি রমিজা খাতুন?
তখন রোগীর সাথে থাকা ব্যাক্তিটি বলেন, “জ্বে স্যার, আগের দিনের মানুষ তো তাই নাম নিয়ে এতো মাথা ঘামাইতেন না। এখনকার পোলাপানের ত নাম নিয়া বিরাট দিগদারি। আমার চাচা নাম নিয়া চিন্তিত না। এখন স্যার রাস্তা ছাড়েন জরুরি হাসপাতালে যেতে হবে।”
ইউএনও বলেন, “আমি বয়স্ক মানুষ দেখে আর ঝুঁকি নিলাম না। বলা তো যায় না দেখা গেল মুরুব্বির কিছু একটা ঘটে গেল। পরে তদন্ত করে দেখা গেল উনার নাম আসলেই রমিজা খাতুন।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজস্থলীতে বাড়ছে করোনা রোগী
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড় ধসে ৬ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে