পাঁচ ম্যাচ পর থামল বাংলা টাইগার্সের জয়রথ

আবুধাবী থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ

টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ের পর থামল বাংলা টাইগার্স। প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর পাঁচ ম্যাচে কোন প্রতিপক্ষকে দাড়াতে দেয়নি টাইগার্স। তবে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে এসে হারল দিল্লী বুলসের কাছ। প্রথম লেগেও দিল্লির কাছে হেরেছিল বাংলা টাইগার্স। ফিরতি লেগে এসে প্রতিশোধ নেওয়া হলোনা টাইগার্সের। দিল্লির কাছে হেরেছে টাইগাররা ১২ রানে। বাংলা টাইগার্সের বোলাররা বেশ ভাল করলেও ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছে এই ম্যাচে। বিশেষ করে দিল্লি বুলসের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। জোড়ায় জোড়ায় উইকেট নিয়েছে দিল্লির বোলাররা। ব্রাভো, আদিল রশিদ, ডমিনিক ড্রেকস প্রত্যেকে প্রথম ওভারে নিয়েছেন জোড়া উইকেট। ড্রেকস প্রথম ওভারে তিনটি উইকেট নিয়েছে। আগের পাঁচ ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও গতকাল মোটেও হাসেনি তাদের ব্যাট। ফলে পাঁচ ম্যাচ পর হারতে হলো বাংলা টাইগার্সকে। টসে জিতে প্রতিপক্ষ দিল্লী বুলসকে ব্যাট করার আমন্ত্রন জানায় বাংলা টাইগার্স অধিনায়ক। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন মোহাম্মদ আমির। ১১ রান করা লুক রাইটকে জাজাইয়ের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান আমির। পরের ওভারে ফকনারের আঘাত। টুর্নামেন্টের প্রতি ম্যাচেই উইকেট নেওয়া ফকনার বোল্ড করে ফেরান রাদারফোর্ডকে। আগের ম্যাচে দুই উইকেট নেওয়া লুক ফ্লেচার প্রথম ওভারেই তুলে নিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজকে। ৯ বলে ১৩ রান করেন এই আফগান। এরপর ইয়ন মরগ্যান এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করার চেস্টা করলেও অপর প্রান্তে কেবলই আসা যাওয়া করেছে সতীর্থরা। ফকনার, ফ্লেচার, আমিরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর মুখে পড়ে একের পর এক আসা যাওয়া করছিল দিল্লীর ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের স্কোরটাকে ১০০ রানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় দিল্লী বুলস। দলের পক্ষে সর্বো”চ ৩৫ রান করেন মরগ্যান। তার ১৯ বলের ইনিংসটাতে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কার মার ছিল। ১১ রান আসে গুলবাদিন নাইবের ব্যাট থেকে। বাংলা টাইগার্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির, জেমস ফকনার, এবং লুক ফ্লেচার। ১০১ রানের লক্ষ্য । সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংরা টাইগার্সের দুই ওপেনার জাজাই এবং চার্লস জনসন ১১ রানে বি”িছন্ন হন। টানা চার ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করে দুইশর বেশি রান করা হজরতুল্লাহ জাজাই ফিরেন একই ওভারে। রাদারফোর্ডের অসাধারন এক ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৬ বলে ৮ রান করেন জাজাই। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে আরেক ইনফর্ম ব্যাটসম্যান উইল জেকসকে বোল্ড করে ফেরান আদির রশিদ। দুই বল পর করিম জানাতকেও ফেরান আদিল রশিদ। অধিনায়ক ডুপ্লেসিস বেশ ভালই টানছিলেন দলকে। কিন্তু সিরাজ আহমেদ হাওয়েলকে ফিরিয়ে ধাক্কাটা দেন। পরের ওভারে ডার্কস এক ওভারে ফেরান ডুপ্লেসিস এবং ফকনারকে। ১৬ বলে ২৬ রান করে ফিরেন ডুপ্লেসিস। সে ওভারে আরো একটি উইকেট নেন ডার্কস। ফেরান লুক উডকে। এরপর বাকিরা কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটা কমিয়েছে মাত্র। শেষ পর্যন্ত ৮৮ রানে থামে বাংলা টাইগার্সের ইনিংস। ১০ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন লুক ফ্লেচার। দিল্লি বুলসের পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন ড্রেকস। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ড্যারেন ব্রাভো এবং আদিল রশিদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকনফিডেন্স সিমেন্ট আন্তঃউপজেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ইয়াসির