পরীমনির রিমান্ড : দুই ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেয়া সিএমএম আদালতের দুই ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি গতকাল বুধবার উত্থাপিত হয়। এ সময় আদালত বলেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেটের একজন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাদকের ভয়াবহতার কথা লিখেছেন। আর রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে যে ত্রুটি হয়েছে, অন্য ম্যাজিস্ট্রেট তা ‘বিশ্বাসই করেন না’। আদালত বলেছেন, আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত। আদালত এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন পরীমণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আবারও আদালতে হাজির হতে হবে। আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী এটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। এদিকে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন অদালত। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
গাড়ি, আইফোন ও প্রসাধনীর বাক্স জব্দ করায় ‘ভোগান্তিতে’ পড়েছেন জানিয়ে আদালতে সেসব ফিরে পাওয়ার আবেদন করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি গাড়ি, ল্যাপটপ, আইফোন, প্রসাধনী ও চাবির বাক্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফিরে পেতে আবেদন করেন।
পরীমনি তার আবেদনে বলেছেন, গাড়িটি আমার। গাড়ির সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি চলাচলে খুব সমস্যা বোধ করছি। মোবাইলের কারণে আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। জব্দ হওয়া প্রসাধনীর বক্সটি আমার খুব প্রয়োজন। এছাড়া চাবির বক্স রয়েছে। এগুলো আমার খুব প্রয়োজন। আমি অনুরোধ করছি এগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আদালতে তার অন্যতম আইনজীবী নীলাঞ্জনা রেফাত সুরভীও শুনানিতে একই কথা বলেন। বক্তব্য শুনে বিচারক এসব জিনিসের মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
শুনানির শুরুতে হাইকোর্ট বলেন, দুই বিচারক কী ব্যাখ্যা দিয়েছে তা একটু শোনাতে চাই। রাষ্ট্র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই মামলার আসামি সামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি বিদেশি মদ, এলএসডি আইসসহ গ্রেপ্তার হন। এসময় আদালত জানতে চান এলএসডি বিদেশি মাদক রাখার সাজা কত বছরের? তখন আইনজীবীরা বলেন, ৫ বছর। তখন আদালত বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের বিষয়ে তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। এ কারণে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাখলাম। তদন্ত কর্মকর্তা সিডি (মামলার নথি) দাখিল করেছে। সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। আদালত বলেন, ওনাদের (বিচারকদের) ত্রুটি হয়েছে এটা বিশ্বাস করেন না। তার মানে হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন বার্তা নিয়ে জল্পনা
পরবর্তী নিবন্ধপরীর পাহাড় থেকে সরবে সব সরকারি অফিস