নাটকীয়তার পর শেষ বলে হার

পরাজয়ের বৃত্তে বন্দি টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ

দারুণ লড়াই করেও শেষ ম্যাচটা জিততে পারল না বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলকে জয়ের একেবারে কাছেই নিয়ে গিয়েছিল। শেষ ওভারে নাটক জমিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ বলে সব শেষ করে দিল পাকিস্তানের নেওয়াজ। আরো একবার তীরে এসে তরী ডুবলো। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের একেবারে কাছে গিয়ে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার মিরপুরে আরো একবার সে দৃশ্য দেখল সমর্থকরা। তবে দীর্ঘ দিন পর আবার যে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারছে বাংলাদেশ সেটাও বড় একটা প্রাপ্তি। যদিও পাকিস্তান ম্যাচটা ৫ উইকেটে জিতে নেওয়ায় হোয়াইট ওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ। ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তান।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভাল হয়নি এ ম্যাচেও। উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এনে নাঈম শেখের সাথে নাজমুল হোসেন শান্তকে পাঠানো হলেও ৭ রানে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ৫ রান করে ফিরেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন নাঈম এবং শামীম। ২৩ বলে ২২ রান করে ফিরেন শামীম। এরপর নাঈমের সাথে যোগ দেন আফিফ। দুজন গড়েন ৪৩ রানের জুটি। এ ম্যাচেও নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারলেন না আফিফ। ২১ বলে ২০ রান করে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এসে নাঈমের সাথে ৩১ রান যোগ করেন। সির্বোচ্চ সংগ্রহ নাঈমের ৫০ বলের ইনিংসটিকে ২টি চার এবং ২টি ছক্কার মার ছিল। মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ১৪ বলে ১৩ রান করে। আর তাতে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১২৪। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং উসমান কাদির।
জবাবে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান উদ্বোধনী জুটিতে ৩৭ রান তুলে নেয়। বাবর আজমকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন আমিনুল বিপ্লব। ১৯ রান করে ফিরেন বাবর। সিরিজে প্রথম বারের মত দুই অংকের ঘরে গেল পাকিস্তান অধিনায়ক। এরপর হাংদার আলিকে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেন রিজওয়ান। ৫১ রান যোগ করেন দুজন। শহীদুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন ৪৩ বলে ৪০ রান করা রিজওয়ান। এরপর হায়দার আলি একাই টেনে নিয়ে যান দলকে। শেষ ওভারে জমে উঠে ম্যাচ। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। বল হাতে তুলে নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলে কোন রান নিতে পারেনি সরফরাজ। পরের বলে সরফরাজ আউট। তৃতীয় বলে দলকে টানতে থাকা হায়দার আলিকেও ফেরান মাহমুদউল্লাহ। ৩৮ বলে ৪৫ রান করেন হায়দার আলি। তিন বলে পাকিস্তানের দরকার ৮ রান। চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে দেন ইফতেখার আহমেদ। পঞ্চম বলে তাকেও ফিরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রানের। মোহাম্মদ নেওয়াজ চার মেরে দলকে জিতিয়ে দেন। সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পাওয়া হলো না জয়। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশকে হোয়াইট ওয়াশ করলো পাকিস্তান। মাহমুদউল্লাহ এক ওভার বল করে ১০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন হায়দার আলি। সিরিজ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওযান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসলেই ডেড বল নাকি বৈধ?
পরবর্তী নিবন্ধজাপানের সোয়া ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা