লোহিত–কণিকা তুমি এতো ছলচাতুরিও জানো!
তা না হলে দুটো হাত এভাবে সে বাড়িয়ে দিতো না।
সামান্য একটু ছুঁয়ে দেখা,
তাতেই স্নায়ুর মধ্যে উজানের একটি নদীর
ঢেউ খেলে গেল।
এই ঢেউ কার ঢেউ কোন–বা নদীর অহংকার
ক্রমাগত ছুটে যাচ্ছে অজানিত মোহনার দিকে,
শিরা উপশিরা তার কিছুই জানে না।
ঘাগরার বৃত্তের গায়ে জংলি–কালো আলপনা আঁকা,
কোন–বা দেশের ছবি ভূগোলের মেধাবীরা কিছুই জানে না।
এতোটা অজ্ঞতা নিয়ে সান্ধ্য সামাজিকতার কিবা প্রয়োজন!
এর চেয়ে ভালো ছিল লোহিত–কণিকা হয়ে
শিরার নদীতে ডুবে যাওয়া।