ধর্মান্ধতায় মানব সভ্যতা ও সংহতি বিপর্যস্ত হয়

জন্মাষ্টমী পরিষদের সম্মেলনে রানা দাশগুপ্ত

| শনিবার , ১৭ জুলাই, ২০২১ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ধর্মকে আমরা ধারণ করব আমাদের আত্মবুদ্ধি ও আত্মবিকাশের জন্য। কিন্তু কখনো ধর্মান্ধতাকে নয়। ধর্মান্ধতা মানুষকে অজ্ঞতা ও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। ধর্মান্ধতার জন্য মানব সভ্যতা ও সংহতি বিপর্যস্ত হয়। ধর্ম হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করার জন্য নয়। তিনি বলেন, সকল নাগরিকের ঐক্য, সাম্য, সমতা ও সামাজিক মর্যাদার অভিপ্রায় নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘুতে পরিণত হওয়ার জন্য নয়। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নীতিবাচক দিকগুলো কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচারের কারণে থমকে যাচ্ছে। তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর ঐতিহ্যবাহী জেএম সেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ-বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালে অংশ নেন জন্মাষ্টমী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. চন্দন তালুকদার। জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ দে’র সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে। আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন পরিষদের অর্থ সম্পাদক রতন আচার্য্য। লায়ন আশীষ কুমার চট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রত্নাকর দাশ টুনু, দক্ষিণ জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল ঘোষ বাবুন, রাজশাহী জন্মাষ্টমী পরিষদের তপন সেন প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সুজিত কুমার বিশ্বাস। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী ও অধ্যাপক রূপন কান্তি ধর। সকলের সর্বসম্মতিক্রমে শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরীকে সভাপতি ও প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅননুমোদিত স্থানে পশু বিক্রি ১৩ ব্যক্তিকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধস্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদের