স্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদের

| শনিবার , ১৭ জুলাই, ২০২১ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

৭১ এর বীরত্বের জন্য অনেকে নানাভাবে স্বীকৃত হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক আহমদের স্বীকৃতি মেলেনি এখনও ! সাদাসিদে জীবন যাপনে অভ্যস্ত তিনি বর্তমানে নিজ বাড়িতে জীবনের শেষ সময় পার করছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ ১৯৪৭ সালের ৭ আগস্ট পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্ধা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে এসএসসি পাস করি। ১৯৬৯ সালে বোয়ালখালী কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজ থেকে বি.কম-এ ভর্তি হই। ১৯৭১ সালে দেশ রক্ষায় স্যার আশুতোষ কলেজের গণিত শাস্ত্রের অধ্যাপক দিলীপ কুমার চৌধুরীর সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। স্যারকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে নানা অপারেশনে অংশগ্রহণ করি। এপ্রিলে স্যারসহ আমরা ভারত যাবার প্রস্তুতি নিতে থাকি। পরে ভারত যাওয়ার জন্য বান্দরবান থেকে পাহাড়ি পথে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পদুয়া হয়ে দোভাষী বাজারে উপস্থিত হই। স্যারের গাড়ি ছিল সবার আগে। জিপ রওয়ানা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্দেশে। ইমাম গাজ্জালি কলেজ পার হবার পর আমরা গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। জানতে পারি স্যারের উপর হামলা হয়েছে। এ হামলায় স্যারসহ অনেকে শহীদ হন। পরে আমার আর ভারত যাওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম শহরে চলে আসি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে হানাদার বাহিনী আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আমার মা-বাবার উপর অনেক নির্যাতন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭৫ সালের পরে আমি দীর্ঘ ৩০ বছর জীবিকার তাগিদে বিদেশে ছিলাম। রফিক আহমদের আপন সম্বন্ধি গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এখলাছুর রহমানের লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকলেও শহীদ গেজেটে এখনো আসেনি এই বীরের নাম। অবশ্য কিছু স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে এ মহান বীর শহীদের নামে। রণাঙ্গনে ১ম সারির বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদ প্রচার বিমুখ। ১৯ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে। যার নাম্বার ৭০৮১৬৪০০৫২০৩২৫। সেই সাথে পটিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। মস্তিস্কের এক পাশে ব্লক ধরা পড়ে। যার কারণে অনেক কথা এখন ভুলে যাচ্ছেন। রফিক আহমদের ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। তৎকালীন ছাত্র ফেডারেশনের নেতাদের অতি পরিচিত মুখ ও সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর সমসাময়িকের মধ্যে প্রয়াত চৌধুরী হারুনুর রশীদ এমপি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মহসীন খান, কমান্ডার মরহুম আবুল হোসেন, আহমদ হোসেন, বোয়ালখালীর বাসিন্দা উপ-পুলিশ কমিশনার কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ইউনুচ উল্লেখযোগ্য। পটিয়া ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম কাতারের সৈনিক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রফিক আহমদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্মান্ধতায় মানব সভ্যতা ও সংহতি বিপর্যস্ত হয়
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীবের ইন্তেকাল