দেশে গড়তে চান বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল

জন্মদিনে সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ২৫ মার্চ, ২০২৩ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান গতকাল পা দিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সে। তার জন্মদিনে ‘সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন’ এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করা হবে বলে রাজধানীর এক পাঁচ তারকা

 

হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। মানবিক কাজে যুক্ত হওয়াটা দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকার জন্য নতুন কিছু নয়। ‘দ্য সাকিব আল ফাউন্ডেশন’ নানা সময়েই এগিয়ে এসেছে। বিশেষত করোনার সময়ে বেশ কিছু প্রশংসনীয় কাজ করে এই সংগঠন। এবার সাকিব ঘোষণা দিলেন ক্যানসার

ফাউন্ডেশনের। প্রাথমিকভাবে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ক্যানসার রোগীদের সহযোগিতা করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। দেশেবিদেশে ক্যানসার চিকিৎসাজনিত তথ্য প্রদান, ওষুধের জোগান পেতে সহযোগিতা করার মতো কাজগুলো করা হবে শুরুতে।

সাকিবের এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছেন বিকেএসপির সাবেক কয়েকজন ক্রিকেটার ও দু’জন কোচ। অনূর্ধ্ব১৯ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কাফি খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৯ জনের একটি গ্রুপ মিলে ফাউন্ডেশনটি গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এক বছর আগে সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশনের

নিবন্ধনও করা হয়েছে বলে জানান গ্রুপের অন্যতম সদস্য জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম। অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ও বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ, ক্রিকেটার মো. নাসিরুল ইসলাম ও প্রয়াত ক্রিকেটার

মোশাররফ হোসেন রুবেল (যিনি মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ১৯ এপ্রিল মারা গেছেন)। বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও জাতীয় দলের সাবেক কোচ সারওয়ার ইমরান এই ফাউন্ডেশনের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। গত বৃহস্পতিবার সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে

সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ। এদিন রাতেই ঢাকায় ফিরেন সাকিব। তার ফাউন্ডেশন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সাকিব বলেন, রোজার শুরু, জুমার দিন, আজ আর আমার জন্মদিন। এক দিনে সব মিলে গেছে তাই দিনটি আমার জন্য আলাদা। আলাদা আরও একটি কারণে, আমাদের এই নতুন উদ্যোগের কারণে। আমি অনেক সময় অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়েছি। চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার। এবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কিছু করতে চাই। একটা ডায়াগনসিস সেন্টার করতে চাই। তারও আগে চাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে। আমার কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, অনেক আর্লি স্টেজে যদি এটা ধরা পড়ে কিংবা শুরুতেই ডায়াগনসিস করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় এখন অনেক ভালো চিকিৎসা আছে। যার মাধ্যমে মানুষ অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে। আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটা ক্যানসার হাসপাতাল করার। যেখানে পরিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার সকল সুবিধা থাকবে। তবে একদমই কম খরচে। মানুষ যেন হাসপাতালে এসে হাসি মুখে বাড়ি ফিরবে। গর্ব করে বলবে, বাংলাদেশেও এমন একটি হাসপাতাল আছে। যা কিনা ছড়িয়ে পড়বে দেশ ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী পিসফুল এসোসিয়েশনের শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধটি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু সোমবার