করোনার প্রাদুর্ভাবে সরকারি লকডাউনের কারণে প্র্রায় ৪৮ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাস স্টপেজ থেকে রাজধানী ঢাকা ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উদ্দেশ্যে দূর পাল্লার বাসগুলো ছেড়ে গেছে। প্রথম দিনে যাত্রীর সংখ্যা ছিল একেবারে অপ্রতুল। তবে এসব বাসে দুই সিটে একজন করে যাত্রী নেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা হয়নি। বাসে চড়ার সময় মুখে মাস্ক থাকলেও বাসে উঠে তাও মানেনি বেশিরভাগ যাত্রী। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী অলংকার, এ কে খান মোড় ও নতুন ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল শুরু হলেও প্রথম দিনে যাত্রী তেমন নেই। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পরও বাসের অর্ধেকের বেশি সিট খালি থাকছে। তবে ঢাকা থেকে অন্য জেলায় যাত্রী যাওয়ার তুলনায় বেশি যাত্রী আসছে ঢাকার বাইরে থেকে। পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. ইয়াসিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যান চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। আর প্রচণ্ড গরম। যাত্রীও সীমিত। আমাদের ৩৬ সিটের গাড়িতে বর্তমানে আমরা ১৮ সিট করে যাত্রী নিচ্ছি। কিন্তু তবুও অর্ধেক যাত্রীও পাচ্ছি না। কোনো সময় ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী মিলছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার রুটে কিছু যাত্রী থাকলেও ঢাকার যাত্রী খুবই কম।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালুর প্রথম দিনে সরকারের নির্দেশনা মেনে গণপরিবহনগুলো চলছে কিনা, চালক, সহকারী ও যাত্রী সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কি না তা তদারকি করছেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর এ কে খান মোড়ে বেশ কিছু গণপরিবহন পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের ও পথচারীর মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন শ্যামল কুমার নাথ। সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহনগুলো যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সড়কে চলাচল করে তা নিশ্চিত করার জন্য তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদেরকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।