প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে (ধারণ ক্ষমতার ৫০%) গতকাল সোমবার থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে জানান, সব ট্রেন সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে। তবে প্রথম দিন যাত্রী সংখ্যা কম ছিল প্রতিটি ট্রেনে। মঙ্গল-বুধবার থেকে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। করোনার কারণে কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি হচ্ছেনা। ৫০ শতাংশ সবই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই এখনো জানে না। তারা টাকা নিয়ে কাউন্টারে টিকেটের জন্য আসছে। তাদেরকে অনলাইনে টিকিট নেয়ার জন্য বলেছি। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ ছেড়ে গেছে বিজয় এক্সপ্রেস। ৩৩১ (অর্ধেক যাত্রী পরিবহন) সিটের বিপরীতে এতে সিট বিক্রি হয়েছে মাত্র ৭২টি। সকাল ৭টা ৪০মিনিটে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে চাঁদপুর কমিউটর। ২২০ আসনের বিপরীতে এতে বিক্রি হয়েছে ১০৭টি সিট। সকাল ১০টায় কর্ণফুলী কমিউটার ছেড়ে গেছে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে। এদিকে দুপুর ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে
ছেড়েছে ঢাকাগামী মহানগর গোধূলী। ৩৩৭ আসনের বিপরীতে দুপুর পর্যন্ত এতে টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৮৫টি। এরপর বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে চাঁদপুরগামী মেঘনা ট্রেন। রাত ১১ টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে তূর্ণা নিশিথা। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় সূবর্ণ এক্সপ্রেস ও পাহাড়িকা গতকাল চলেনি। আজ থেকে যথারীতি চলাচল শুরু করবে।
সকালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বারবার হ্যান্ড মাইকিং দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার অ্যানাউন্স করছে।