পেট্রোলের সাথে কেরোসিন মিশিয়ে দেশের ১৯ জেলায় নিম্নমানের জ্বালানি সরবরাহের অভিযোগ পাওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে যমুনা অয়েল কোম্পানি ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির বাঘাবাড়ি ডিপোর তিন কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ সহকারী ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম, পদ্মা অয়েল কোম্পানির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) ও ডিপো ইনচার্জ আসিফ এবং ডিপোর সেকেন্ডম্যান জুনিয়র অফিসার (চুক্তিভিত্তিক) শেখ নাইমুল হাসান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনচারী দৈনিক আজাদীকে বলেন, বিপিসির তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাঘাবাড়ি ডিপোর ওই সময়ের ইনচার্জ শরীফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের দাপ্তরিক মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে যান। তিনি দীর্ঘক্ষণ যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনচারীর সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বেলা ১২টার দিকে তিনি যমুনা অয়েলের প্রধান কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক (এইচআর এন্ড এডমিন) শহিদুল আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘এটি আমাদের পর্যন্ত আসেনি। হায়ার অফিসিয়াল পর্যায়ে ভার্চুয়ালি সিদ্ধান্ত হতে পারে। হয়তো কয়েকদিন পর বিষয়টি অফিসিয়ালি আমরা জানতে পারবো।’