তবুও জীবন

শারুদ নিজাম | শনিবার , ৫ মার্চ, ২০২২ at ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

দরকার কি আপনার এত খোঁজ নেবার? সকালে ঘুম ভাঙা চোখের সামনে হাজির সব প্রিয় মানুষগুলো অতীত বর্তমান আগামি ফেবুর কল্যাণে। কারা কত মিথ্যা বলে, কারা কত কঞ্জুসগিরি করে, কারা কত ভালোবাসার দরওয়াজা ফাটাইয়া ফেলে। কারা কত দয়াবান, নো ইনভেস্টিগেশন এট অল! চুপচাপ শুধু স্ক্রলেই পাওয়া যায় পুরোনো সব। কিছু পুরোনো প্রেম, পুরোনো ‘বাইক্যা খাতা’। ফেলে আসা দিনের আঁকুবাঁকু….। কাক চোখ বন্ধ করে দাঁত লুকিয়ে রাখে। সে মনে করে নিজে যেমন দেখেনি তাতে কেউই দেখলো না। আর আমরা সকালে কাউকে ফোন করি অসুস্থ, কর্মস্থলে আসার অবস্থা নেই, জ্বর জ্বর ভাব, মাথা ডানে গেলে বামে আসেনা, চোখে সব একরকম দেখি, আর রাতের শেষে ছবি ডাউনলোড করি সারাদিন কর্ম ব্যস্ততার…এখানে ওখানে, ট্যাগ ঝুলিয়ে দেই অযাচিত বদনে…চমৎকার ফাঁকিঝুকি? টিএন্ডটি নয় মোবাইলে যেমন মানুষকে মিথ্যুক বানাবার (অমুক আছে বহদ্দারহাট বলে আগ্রাবাদ) ইন্সট্রুমেন্ট ছিলো তেমনি ফেবু সব বন্ধুদের মারেফত চিনিয়ে দিলো। সাথে আছি সবসময় হে প্রিয় বন্ধু, বাতি জ্বালিয়ে চোখ খোলা রেখে না দেখার ভান করা মানে আপন ভুবনে কালো ক্যানভাস ঝুলিয়ে দেয়ার সামিল। এমনটা করো না হে প্রিয়।
প্রেম যেমন গোপনে হয়, এবাদতও গোপনে! এসব সদরে আসলে তা পাবলিক হয়ে যায়। সকালের দৃঢ় সত্য কথাটা যদি গোধুলি বেলায় মিথ্যায় পরিণত হয় তাতে বিশ্বাসটা রাখি কোথায়? তোমাকে হারাতে চাইনা বন্ধু। এক জনমের অনেক কিছুইতো গচ্ছিত তোমার কাছে জানা অজানার পুরোটাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুদিনের আত্মজা
পরবর্তী নিবন্ধভাষা শহীদদের জীবনী পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়া জরুরি