ঢাকা থেকে আমদানিকারক গ্রেপ্তার

মন্ত্রণালয়ের ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে জালিয়াতি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২২ নভেম্বর, ২০২০ at ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসের চেষ্টায় জড়িত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার টিম।
উল্লেখ্য, ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে পণ্য খালাসের চেষ্টার দায়ে গত ২৯ অক্টোবর বন্দর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুজয় দেবনাথ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২ (২) ও ২৩ (২) এবং দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়। ইতোমধ্যে এ মামলায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম মওলা খান, তার ছোট ভাই গোলাম রসুল খান, ভুয়া ওয়েবসাইট ডেভেলপার আবুল খায়ের পারভেজ, মো. আতিকুর রহমান রাসেল ও রাহাত হায়দার চৌধুরী রানা।
সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জলিলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর সিয়াম এন্টারপ্রাইজ কাস্টমসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সিপি দাখিল করে। একইসাথে ১৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিও দাখিল করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিএসটিআই-এর ছাড়পত্র এবং কাস্টমসের আরোপিত জরিমানা ও শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে চালানটি ছাড় দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিপি এবং চিঠি নিয়ে প্রথম থেকে সন্দেহপোষণ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে ভুয়া চিঠি এবং ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত হন তারা। অভিযুক্ত সিয়াম এন্টারপ্রাইজ চলতি বছরের শুরুর দিকে ১৩ হাজার ৫শ ২০ কেজি চীনা বাদাম ও ৪ হাজার ৫শ ১০ কেজি জলপাই আমদানির ঘোষণায় একটি চালান আমদানি করে। আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলীর খান এন্টারপ্রাইজ চালানটি খালাসের জন্য ২৩ এপ্রিল কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। কিন্তু গোপন খবরে সন্দেহজনক পণ্যের উপস্থিতির তথ্য থাকায় কাস্টমসের এআরআই শাখা চালানটির খালাস স্থগিত করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় ২১ হাজার ৬০ কেজি শিশুখাদ্য গুঁড়োদুধ পাওয়া যায়। ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানি করায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে ৬৬ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ও ১০ লাখ টাকা বিমোচন জরিমানা দেওয়ার আদেশ দেয়। আমদানি পণ্যের চালানটি খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা আমদানি রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের সিপি কাস্টমসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান িি.িসরহপড়সমড়া.পড়স নামের ভুয়া ওয়েবসাইটটি খুলে পণ্য খালাস নেয়ার চেষ্টা করে। প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে িি.িসরহপড়স.মড়া.নফ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনির যেভাবে গোল্ডেন মনির
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে পলিটেকনিক ছাত্র খুন