ডা. আফছারুল আমীন এমপির ইন্তেকাল

মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হবে আজ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩ জুন, ২০২৩ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক নৌপরিবহন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম১০ আসনের (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আফছারুল আমীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহিরাজিঊন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ছেলেসহ ৫ ভাই এবং ৪ বোন রেখে গেছেন। আওয়ামী লীগের রাজপথের ত্যাগী ও পরীক্ষিত প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম১০ আসনের (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক জানান, ডা. মো. আফছারুল আমীন এমপির প্রথম নামাযে জানাযা আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে মরহুমের মরদেহ সংসদ ভবনের সামনে নিয়ে যাওয়া হবে। স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানানোর পর হেলিকপ্টারে করে বেলা ১২টায় লাশ চট্টগ্রামের হালিশহরে বিডিআর মাঠে নিয়ে আসা হবে। এরপর মরদেহ দক্ষিণ কাট্টলীস্থ ফইল্ল্যতলী নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকাল ৪টায় বাসভবন থেকে লাশ জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আনা হবে। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠে বাদে আছর দ্বিতীয় নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. মো. আফছারুল আমীনের লাশ শেষ বারের মতো তাঁর দক্ষিণ কাট্টলীস্থ ফইল্ল্যতলী বাজারের নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। বাদ এশা পিএইচ আমিন একাডেমি স্কুল মাঠে তৃতীয় জানাযা শেষে দক্ষিণ কাট্টলী মো. হোসেন চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মাবাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।

পরিবারিক সূত্র জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। প্রথমে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর দেশে নিয়মিত চিকিৎসা নেন।

তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম১০ আসনে ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচ বার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রী ও পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, এলজিআরডি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, এম এ লতিফ এমপি, নোমান আল মাহমুদ এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সিনিয়র সহসভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, সহসভাপতি ও সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারীর চেয়ারম্যান শামসুল আলম শামীম, সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম, মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চিটাগাং চেম্বার পরিচালকমণ্ডলীর পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন ও সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাবেক এমপি মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইল খান, সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, চুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রেড ক্রিসেন্টের ট্রেজারার ও এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ওমরগণি এমইএস কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সারোয়ার আলম, মহিলা কলেজ, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সোহানা শরমিন তালুকদার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর সৈয়দা তাহেরা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আইয়ুবুর রহমান, সভাপতি সিনিয়রস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আওয়ামী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, ইসলামিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ছৈয়দ নাছেরুল হক চিশতি ও স ম হামেদ হোসাইন, নগর ইসলামিক ফ্রন্টের সভাপতি মুজিবুল হক শাকুর, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মোরশেদুল আলম কাদেরী, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারীর চেয়ারম্যান শামসুল আলম শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গভর্নর আমিনুল হক বাবু, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছ, ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম রাশেদ, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি ও চবি সিণ্ডিকেট ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ নুরখান ও মোহাম্মদ কায়েস চৌধুরী প্রমুখডাঃ ফজলুলহাজেরা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার নাথ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ ও ত্যাগী নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোভিডে ৬৬ দিন পর দুই মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধবাজেট সময়োপযোগী হয়নি