কালুরঘাট সেতুর টোল আদায়ে রেলওয়ের টেন্ডারের উপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন এ এন্টারপ্রাইজ নতুন টেন্ডারের উপর সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্র্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করে। হাই কোর্ট আগামী ৬ মাসের জন্য টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ দেন।
রেলওয়ের ভূ–সম্পত্তি বিভাগ ২০২০ সালে ১ বছরের জন্য কালুরঘাট সেতু থেকে টোল আদায়ের জন্য টেন্ডার আহ্বান করলে মেসার্স এন এ এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে উত্তীর্ণ হয়। রেল কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে ১ বছরের জন্য তাদেরকে ইজারাদার নিয়োগ করে। একই বছরের ২৪ মার্চ কার্যাদেশ প্রদানের পর ৯ নভেম্বর তাদের সাথে চুক্তি করে রেল প্রশাসন। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ১ বছর করে আরো ২ বছর মেয়াদ বর্ধিত করার জন্য আবেদন করেন। তাদের আবেদন ও সন্তোষজনক সার্ভিস বিবেচনায় রেলওয়ের ভূ–সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার ৩৭ ও ৫০ (ঙ) অনুচ্ছেদের সংস্থান অনুযায়ী ২১–২২ ও ২২–২৩ অর্থাৎ আরো ২ বছর মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। এর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৪ মার্চ।
নীতিমালার বর্ণিত শর্তে ২০২৩–২০২৪ সালের জন্য আরো ১ বছর মেয়াদ বর্ধিত করার জন্য ইজারাদার প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে তা মঞ্জুর না করে রেল কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করে। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে ইজারাদার হাই কোর্টে রিট পিটিশন (নং ১২৮১/২০২৩) দায়ের করলে হাই কোর্ট আগামী ৬ মাসের জন্য টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ দেন।
ইজারাদার এন এ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আইয়ুব আলী বলেন, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ আমাদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। অথচ ২৫ মার্চ হতে সারা দেশ লকডাউন হয়ে যায়। ২য় দফাসহ মোট ১৪৮ দিন সেতুর উপর দিয়ে তেমন কোনো যানবাহন চলাচল না করলেও আমরা রেল প্রশাসনকে ইজারামূল্য, ভ্যাট ও ট্যাঙ পরিশোধ করি। এছাড়া নিজ খরচে সেতুর দুই পাশে ২টি ওয়ে স্কেল ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করি। এতে অতিরিক্ত প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। আমাদের ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা বিবেচনায় না নিয়ে রেল প্রশাসন নতুনভাবে টেন্ডার আহ্বান করে। অথচ রেলওয়ে ভূ–সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় ৩৭, ৫০(ঙ)-তে স্পষ্টভাবে বছরভিত্তিক ৫ বছর নবায়নের সুযোগ আছে। রেল প্রশাসন আমাদের আবেদন বিবেচনায় না নিয়ে নতুন টেন্ডার আহ্বান করায় আমরা হাই কোর্টে রিট করি। আদালত টেন্ডার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন।