টেকনাফে ৫ ইউনিয়নের নৌকা প্রত্যাশীদের চোখ ঢাকার দিকে

নির্বাচন ১১ এপ্রিল

টেকনাফ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৫ মার্চ, ২০২১ at ৯:৫১ অপরাহ্ণ

টেকনাফে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যশীদের দৌড়ঝাঁপ বেড়েই চলেছে। এখন মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদের চোখ ঢাকার দিকে। ঢাকায় নাম যাচ্ছে কি না বা গেলে মনোনয়ন পাচ্ছেন কি না। তা নিয়ে চলছে জোর তদবির ও লবিং।
গত ৩ মার্চ নিবার্চন কমিশনের ঘোষিত তফসিলে ৫ ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের তারিখ ১১ এপ্রিল। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বৈঠক ডেকেছে। দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে কেন্দ্রীয় নিদের্শনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে।
গত ৪ মার্চ টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা মাস্টার জাহেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সেন্টমার্টিন, সাবরাং, টেকনাফ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়েন তিন ডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী তাদের বায়োডাটা (সিভি) জমা দেন। উক্ত সভায় প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে তিনজনের প্যানেল তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এদিকে, সর্বশেষ তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আগামীকাল ৬ মার্চ শনিবার সকাল ১১টায় সভা আহ্বান করেছে। ঐ সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দ্রুত কেন্দ্রে তালিকা প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন। এখানে অনেক ত্যাগী ও যোগ্য নেতৃত্ব রয়েছে যারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। সুতরাং সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেল ইউপি নির্বাচনে হ্নীলা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এইচ কে আনোয়ার ছাড়া সেন্টমার্টিনে বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি নুর আহমদ, সাবরাং ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, টেকনাফ ইউনিয়নে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাজাহান মিয়া এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নে জামায়াত ইসলামীর কক্সবাজার জেলা আমীর নূর আহমদ আনোয়ারী নিবার্চিত হন।
গোটা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে জামায়াত ও ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নিবার্চিত হন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ারের মৃত্যুজনিত উপ-নির্বাচনে বর্তমানে আওয়ামী লীগ মনোনীত রাশেদ আহমুদ আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ৫ মার্চ হতে ১০ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু ও জমার কাজ শুরু করেছে। বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলগতভাবে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছে। আওয়ামী লীগও গত নির্বাচনে বিদ্রোর্হী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ে যাওয়াদের বিষয়ে এবার মনোনয়ন না দিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এসব বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগে নৌকা প্রত্যার্শীদের দৌড়ঝাঁপ আরো বেড়ে গেছে।
বর্তমানে সের্ন্টমাটিনে গতবারের নৌকা প্রতীক নিয়ে নিবার্চনে অংশ নেওয়া মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন, সাবরাং ইউনিয়নে গতবারের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সোনা আলী, জেলা যুবলীগ নেতা আবুল কালাম, মো. ইসমাইল সিআইপি, বর্তমান চেয়ারম্যান নূর হোসেন, টেকনাফ ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসেন মেম্বার, সাবেক আহ্বায়ক হাম জালাল মেম্বার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গুরা মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি আবু ছৈয়দ মেম্বার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাজাহান মিয়া, হ্নীলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন সম্রাট, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দীন এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নে গতবারের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলম জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মইনুল হোসেন চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন আর রশীদ সিকদার ও সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরী লবিং জোরদার করেছেন।
এ বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল আলম জুয়েল বলেন, “যদি মনোনয়ন পাই তাহলে বিগত নির্বাচনের দুর্বলতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার এগিয়ে যাব।”
তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই জননেত্রী শেখ হাসিনার তথা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের জন্য কাজ করবেন বলেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরক্ত ঝরা ভূমির প্রতি কর্তব্য পালনে ইরাকে পোপ
পরবর্তী নিবন্ধব্যারিস্টার মীর হেলালের মাতার শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল