টেকনাফে রোকেয়া বেগম নামের এক সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে টেকনাফ ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।
দুপুর ১টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই রাফি খবর পেয়ে বিশেষ ফোর্স নিয়ে সদর ইউপির মহেশখালীয়া পাড়ার নুরুল হকের পুত্র মোহাম্মদ আজিজের বাড়ি হতে তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী রোকেয়া বেগমের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী লামার পাড়ার মমতাজের মেয়ে।
নিহত রোকেয়ার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের পরিবারের লোকজন দাবি করে।
এ ঘটনার পর থেকে নিহত রোকেয়ার ৬ বছর বয়সী একমাত্র ছেলেটি ছাড়া স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সকলে পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
এদিকে, নিহতের পরিবারের দাবি, মোহাম্মদ আজিজ টেকনাফ থেকে রোহিঙ্গা বশোংদ্ভুত এক নারীকে প্রথমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সংসারে মিল না হওয়ায় তাকে তাড়িয়ে দিয়ে পরে রোকেয়াকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৬ বছরের মোহাম্মদ হোছাইন নামে এক সন্তান রয়েছে কিন্তু আজিজের মা-বাবা রোকেয়াকে পছন্দ করত না।
এছাড়া সংসারের অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি হতো। গত তিন মাস পূর্বেও রোকেয়াকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। তা নিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার মাধ্যমে রোকেয়াকে স্বামীর ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ ঐ এলাকার এক মহিলার মাধ্যমে রোকেয়াকে মেরে খুুন করার খবর পেয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করা করে।