টাইগারদের সামনে সুপার লিগের শীর্ষে উঠার হাতছানি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

প্রথম ম্যাচের রোমাঞ্চ শেষ না হতেই আজ আবার মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। নতুন ম্যাচে নতুন লক্ষ্য টাইগারদের। আজকে জিতলেই নিশ্চিত হবে সিরিজ। তাই বলা যায় সিরিজ নিশ্চিত করতেই মাঠে নামবে তামিম-সাকিবরা। তবে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি আজকের ম্যাচ জিতলেই ইংল্যান্ডকে টপকে আইসিসি মেনস ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে আসবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচের ৯টিতে জয়সহ বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯০ পয়েন্ট। লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে টাইগাররা। অন্যদিকে, ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। এছাড়া আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশকে আইসিসি র‌্যাংকিং উন্নতি করতেও সাহায্য করবে। বর্তমানে পাকিস্তানের ঠিক পেছনে সপ্তম স্থানে আছে টাইগাররা। আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে টপকে যাবে পাকিস্তানকে।
আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ নিঃসন্দেহে বিশ্বসেরা। নবী, রশিদ, মুজিবদের সমীহ করে না তেমন ব্যাটার খুজে পাওয়া মুশকিল। বাংলাদেশও হয়তো প্রথম ম্যাচে এই আফগান স্পিন ত্রয়ীকে হিসেব নিকেষ করেই মাঠে নেমেছিল। কিন্তু হিসেবটা কেমন যেন উল্টে গেল। অখ্যাত এক ফজল হক ধ্বসিয়ে দিল বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে নিশ্চয় বাংলাদেশের রণ কৌশলে পরিবর্তন আসবে। পরিবর্তন না এনেই বা উপাই কি। যে ফজল হক ফারুকীকে বিপিএলের একেবারে সাদামাটা একজন পেস বোলার হিসেবে দেখেছে তামিম-সাকিবরা। সে ফজল হকই কিনা বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটারদের হন্তারক। তবে প্রতিদিনতো আর এক রকম যায় না। আজকের দিনটা ফজল হকের নাও হতে পারে। হতে পারে তামিম, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ কিংবা মুশফিকের। আরো জোর দিয়ে বললে তাদের দিনই হতে হবে। কারণ তারাই যে দলের সেরা ব্যাটসম্যান। তাদের উপরই যে দলের সবচাইতে বেশি ভরসা। সে ভরসার জায়গায় ফিরতে হাব তামিম-সাকিবদের।
কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা টাইগাররা আজ অন্যরকম এক মানসিক শক্তি নিয়ে নামবে মাঠে। দলের সেরা ব্যাটারদের দায়িত্ববোধটা যেন অনেকগুণ বাড়িয়ে দিলেন আফিফ-মিরাজ। লড়াই করার কিংবা ম্যাচে ফিরে আসার রসদটা যেন যোগাড় করে দিলেন এই দুই তরুণ। আর সে রসদে ভর করে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে অন্তর জ্বালায় জ্বলতে থাকা আফগানরা আজ চেষ্টা করবে সিরিজে ফেরার। তারাও জানে আজ হারা মানে সব শেষ। পরের ম্যাচটা কেবলই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে পরিণত হবে। তাই ম্যাচে ফিরতে আজ আরো একবার প্রাণপন লড়াই করবে রশিদ-নবীরা। দুদলের লক্ষ্য আজও এক এবং অভিন্ন। এক দলের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখার। আরেক দলের সব সম্ভাবনা শেষ করে দেওয়ার। অভিন্ন এই লক্ষ্যে কার দৌড় কোথায় গিয়ে থামে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুমকির বিরুদ্ধে তিন কর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য
পরবর্তী নিবন্ধউখিয়ায় রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপ মুখোমুখি