জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলা ৩ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ৩ হাজার পরিবার

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ৭ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘীনালা সড়কের ১৬ কিলোমিটারের দুইটিলা এলাকায় সড়কের উপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। এতে সড়কের দুই পাশে বেশকিছু যানবাহন আটকা পড়ে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বড় একটি গাছসহ পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। এতে প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ চালু রয়েছে। এছাড়া এই সড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১০ টি পয়েন্টে পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল পতাকা উত্তোলন করে স্থানীয় ও সড়কে যাতায়াতকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেবল পৌর শহরে ঝুঁকি জেনেও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে সাড়ে প্রায় ৩ হাজার এর বেশি পরিবার । পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

আমাদের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, শহরের ভেদভেদী যুব উন্নয়ন এলাকায় রাস্তার পাশের মাটি ধসে বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সকাল থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল রিজার্ভ বাজার, তবলছড়িসহ আশপাশের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। শহরের বনরুপা,রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ি এলাকায় দুপুর ১২ থেকে দুপুর ২.৪০ মিনিট পর্যন্ত বিদুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি ক্যালেক্টর মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন , ঝূঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। যাতে অতিবর্ষণের কারণে কোন যানমালের ক্ষতি না হয়। বর্তমানে ঝূঁকিতে বসবাস করা শিমুলতলীসহ প্রায় ৩শ মানুষকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, রাঙামাটি জেলায় মোট ১৮২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।এর মধ্যে রাঙামাটি শহরে হচ্ছে ১৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র। পাহাড় ধসের আশংকায় রাঙামাটি শহরের বেতার ভবন, বিএম ইনিষ্টিটিউট স্কুল ও লোকনাথ মন্দির আশ্রমে আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলায় মাঝারী ও ভারি বর্ষণের কারণে গেল শুক্রবার থেকে জুরাছড়িবরকল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জুরাছড়ির স্থানীয় সাংবাদিক স্মৃতি বিন্দু চাকমা বলেন, তিন দিন ধরে জুরাছড়িতে বিদ্যুৎ নাই। এতে করে আমাদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের কারনে জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়ছে গাছপালা। টানা বর্ষনে ধসে পড়ছে পাহাড়ের মাটি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বসত বাড়ি ধসে পরার শঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে প্রবল বর্ষণের কারনে পাহাড় ধসের সম্ভাবনার পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার সকাল থেকে জেলা শহরের শালবাগান, কুমিল্লা টিলা এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের সচেতন করতে মাইকিং শুরু করছে ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে পাহাড় ধস বিধস্ত ঘরবাড়ি-সড়ক
পরবর্তী নিবন্ধবৃক্ষমেলায় ভেঙে পড়েছে গাছ