জুম্ আর খুতবা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ১৯ আগস্ট, ২০২২ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

ইসলামের নামে প্রথম ভ্রান্ত মতবাদের নাম খারিজী মতবাদ
খারিজীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় : খারিজী শব্দের অর্থ “দলত্যাগী” সিফফীনের যুদ্ধে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দলত্যাগ করে চরমনীতি অনুসর পূর্বক যে বার হাজার মুসলমান এক নতুন দল গঠন করে, সাধারণত: ইতিহাসে তারা খারিজী নামে অভিহিত। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পক্ষত্যাগকারী খারিজীরা কুফার হারুরা নামক স্থানে অবস্থান করতে থাকে। এ কারণে হাদীস শরীফে খারিজীদেরকে “হারুরীয়া” নামেও অভিহিত করা হয়েছে। খারিজীরা নিজেদেরকে আল্লাহর পথে বহির্গত (খারিজ) বলে মনে করত। পক্ষান্তরে মুসলমানরা খারিজীদের উগ্রভাবধারা, অতি উৎসাহ ও উশৃঙ্খল কার্যাবলীর কারনে তাদেরকে ইসলামের সীমারেখা হতে বহির্গত মনে করত। এ কারনে তারা মুসলিম সমাজে খারিজীরূপে আখ্যায়িত।
খারিজীদের উৎপত্তি : মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিরোধানের পর সর্বপ্রথম মুসলমানদের মধ্যে খলীফা নির্বাচন বিষয়টি কেন্দ্র করে এই মতবিরোধ দেখা দেয়। এ মতবিরোধের ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। অনেকেই হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে তাঁর নির্বাচিত খলিফা মনে করতেন, কখনো অসুস্থতার সময় হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে নামাযের ইমামতির দায়িত্ব দিতেন বলে অনেকে ধারণা করতেন যে, হযরত আবু বকর ছিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হলেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যথার্থ উত্তরসুরী। বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধ ও প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়। উদ্ভব হল বিভিন্ন মতবাদের সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইসলামী জগতের প্রথম খলিফা নির্বাচিত হন। এরপর হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খলীফা নির্বাচিত হন। হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর পর উমাইয়া বংশের হযরত উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খলীফা নির্বাচিত হন। প্রায় বার বৎসর খলীফা পদে অধিষ্ঠিত থাকার পর মুনাফিক সাবায়ীদের চক্রান্তে সৃষ্ট বিদ্রোহের এক পর্যায়ে কয়েকজন আত্‌তায়ীর তরবারীর আঘাতে শাহাদাত প্রাপ্ত হন। তাঁর স্থলে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে খলীফা পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। এতে উমাইয়াদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেল। উমাইয়া গোত্রের বিদ্বেষ ও সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। তারা হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট হযরত ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হত্যাকারীদের বিচার দাবী করল। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের জন্য তদন্ত টিম গঠনপূর্বক অর্পিত দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তাঁকে সময় দিতে সম্মত হননি। তারা উমাইয়াদের হাতেই রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব রাখার অভিপ্রায়ে নতুন নতুন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করল। তারা প্রিয়নবীর দুইজন প্রিয় সাহাবা হযরত তালহা ও যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হল। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচার শুরু করল। এরা হযরত ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হত্যার ঘটনার ব্যাপারে অসত্য তথ্য ও বিকৃত ধারনা দিয়ে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে হযরত ওসমান হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাঁকে অনুপ্রাণিত করল। এভাবে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম গৃহযুদ্ধ শুরু হলো। হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর নেতৃত্বে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে পরিচালিত এ যুদ্ধ “উষ্ট্রের যুদ্ধ” নামে পরিচিত। (ইসলামী বিশ্বকোষ ৯ম খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পৃ: ৬৭৪-৬৭৬)
হাদীস শরীফের আলোকে বাতিল ফিরকার পরিচয় : ইসলামের ইতিহাসে খারিজী সম্প্রদায় হচ্ছে সর্বপ্রথম বাতিল ফিরকা। সিহাহ সিত্তা তথা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীস শরীফের গ্রন্থসমূহে খারিজীদের সম্পর্কে বিশদ আলোচনা স্থান পেয়েছে। পরবর্তীতে ইসলামের নামে ভ্রান্ত দল-উপদলের আক্বিদা বিশ্বাস ও চরিত্রের সাথে খারিজীদের সম্পর্কে বিশদ আলোচনা স্থান পেয়েছে। খারিজী সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন বাতিল ফিরকা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের জন্য প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় হাদীস শরীফের উদ্ধৃতি উপস্থাপন করা হলো। বিশ্বখ্যাত সর্বাধিক বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ বোখারী শরীফ দ্বিতীয় খন্ডে হযরত ইমাম বোখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাতিল সম্প্রদায় খারিজী ও মুলহীদের হত্যা করার বিধান সম্বলিত শিরোনামে একটি অধ্যায় উপস্থাপন করেন। উক্ত অধ্যায়ে তিনি নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন, “প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমা খারজীদেরকে আল্লাহর সৃষ্টিতে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মনে করতেন।” হযরত আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমা হতে মিশকাত শরীফে বর্ণিত হয়েছে, “প্রিয়নবী হুযুর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মতের মধ্যে মতানৈক্য ও ফিরকা সৃষ্টি হবে। এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি হবে যারা সুন্দর ও ভালকথা বলবে, আর কাজ করবে মন্দ। তারা কুরআন পাঠ করবে, তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবেনা, তারা দ্বীন অর্থাৎ ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেভাবে তীর শিকারী থেকে বেরিয়ে যায়। তারা দ্বীনের দিকে প্রত্যাবর্তন করবেনা, অথচ তীর ফিরে আসা সম্ভব। তারা সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট। ঐ ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে এবং যুদ্ধে তাদের দ্বারা শাহাদত বরণ করবে। তারা মানুষকে আল্লাহর কিতাব (কুরআন) এর প্রতি আহবান করবে, অথচ তারা বিন্দুমাত্র আমার আদর্শের অনুসারী নয়। যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে লড়বে সে অপরাপর উম্মতের তুলনায় আল্লাহ তা’আলার অতি নিকটতম হবে। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তাদের চিহ্ন কি? হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন, অধিক মাথা মুন্ডানো। (আল্লামা আরশাদ আলকাদেরী, তাবলীগ জামাত, প্রকাশনা মাকতাবা জামে নুর দিল্লী। ভারত পৃ: ১৯২,১৯৩, মিশকাত শরীফ, ৩০৮ পৃ:) -হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, আমরা হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ছিলাম। তিনি গণীমতের সম্পদ বন্টন করছিলেন। তখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বনী তামীম গোত্রের যুল খোয়াইসারা নামক এক ব্যক্তি আসল, অত:পর সে বলল হে আল্লাহর রাসুল, আপনি ইনসাফ করুন। তখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার ধ্বংস হোক। আমি যদি ইনসাফ না করি কে ইনসাফ করবে? যদি আমি ইনসাফ না করতাম তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে। তখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার শিরচ্ছেদ করে ফেলব। অত:পর হুযুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই তার এমন অনেক অনুসারী আছে, তোমাদের মধ্যে অনেকে নিজেদের নামাযকে তাদের নামাযের তুলনায় তুচ্ছ-হীন মনে করবে, অনুরূপ নিজের রোজাকে তার রোজার তুলনায় তুচ্ছ মনে করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন অর্থাৎ ইসলাম হতে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকারী থেকে বেরিয়ে যায়। (মিশকাত শরীফ, পৃ: ৫৩৫)
খারিজীদের ভ্রান্ত আক্বিদাসমূহ : ১। খারিজীরা খোলাফায়ে রাশেদীনের দুই খলিফা হযরত ওসমান (রা.) ও হযরত আলী (রা.) কে খলিফা হিসেবে স্বীকার করেনা। ২। খারিজীদের মতে, যে মুসলমান নামায পড়েনা, রোজা রাখেনা, সে কাফির। ৩। খারিজীদের মতে, একটি মাত্র অপরাধের জন্য যে কোন লোক ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। ৪। খারিজীদের মতে, খলিফা বা ইমাম ভুল করলে তাকে পদচ্যুত করতে হবে। প্রয়োজনে তাকে হত্যা করতে হবে। ৫। খারিজীরা তাদের বিরুদ্ধবাদী (যারা খারিজী নয়) তাদেরকে কাফির মনে করে। ৬। খারিজীদের মতে, ঋতুস্রাবকালীন মেয়েদের উপর নামাজ ফরজ। ৭। খারিজীদের মতে, যে কোন প্রকার কবীরা গুনাহকারী ব্যক্তি কাফির। ৮। খারিজীদের মতে, চোরের হাত বগল পর্যন্ত কর্তন করতে হবে। ৯। খারিজীদের মতে, সূরা ইউসুফ কুরআনের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১০। খারিজীদের মতে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বললে মুমিন হিসেবে গণ্য হবে। যদিও কুফরী আক্বিদা পোষণ করে। (ইমাম ইবনে হাজর আসকালানি, ফতহুল বারী শরহে বোখারী, পঞ্চদশ খন্ড, পৃ: ৩১২), ১১। খারিজীরা উমাইয়া খিলাফতের বিরোধী এবং তাদের নিন্দা ও সমালোচনা করেন।, ১২। খারিজীদের মতে, কোন মুসলিম পাপে লিপ্ত হলে সে কাফির। ১৩। খারিজীরা জিহাদকে ইসলামের মূলভিত্তি বা রুকন মনে করে, তারা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের সাথে জিহাদকে ষষ্ঠ স্তম্ভ হিসেবে যুক্ত করে। ১৪। খারিজীদের মতে, খলিফা হওয়ার জন্য কোন গোত্র বা পরিবারের প্রয়োজন নেই। মুসলিম সমাজের যে কেউ খলিফা হতে পারেন।, ১৫। খারিজীদের মতে, কোন প্রকার ত্রুটির কারণে খলিফা অপসারণযোগ্য ও হত্যাযোগ্য।, ১৬। খারিজীরা নিজেদের বাইরে বৈবাহিক সম্বদ্ধ স্থাপনে আগ্রহী নয়।, ১৭। খারিজীদের মতে, তারা নিজেরাই আল্লাহর পথের যাত্রী। তাদের সাথে যারা আল্লাহর পথে বের হয়না তারা কাফির।, ১৮। খারিজীদের মতে, কাফিরদের সন্তানাদি তাদের পিতামাতার সাথে দোজখের আগুনে জ্বলবে।, ১৯। খারিজীদের মতে, কুরআন আক্ষরিক অর্থের বুঝতে হবে, রূপক অর্থে নয়। রাফিজীরা হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি অধিক ভালবাসার দাবীদার পক্ষান্তরে হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী সম্প্রদায়।
দু:খজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে এক শ্রেণির ভ্রান্ত মতবাদীরা হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর প্রতি কুটুক্তি গাল-মন্দ, সমালোচনা করার পরও নিজেদেরকে মুসলমান মনে করে। (সুফী মুহাম্মদ আউয়াল কাদরী রিজভী ‘সুহনে রেযা, প্রকাশনায় ফারুকীয়া বুক ডিপো, দিল্লী, ভারত। পৃ: ৩৭৩-৩৭৬)
আল্লাহ তা’আলা আমাদের ঈমান আক্বিদা হিফাজত করুন। আমিন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী); খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ শরাফত আলী
আতুরার ডিপো, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: ইদ্দত বলতে কি বুঝায়, ইদ্দত কেন পলন করতে হয়?
উত্তর: ইদ্দত শব্দটি আরবি “আদ্দা” থেকে নির্গত এর অর্থ গণনা করা, যে সময় সীমার মধ্যে মহিলার জন্য পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নিষিদ্ধ, ইসলামী ফিক্‌হ শাস্ত্রের পরিভাষায় তাকে ইদ্দত বলা হয়। ইদ্দাত হলো ঐ সকল দিন যেগুলো অতিবাহিত হলে মহিলার জন্য বিবাহ করা হালাল হয়ে যায়। স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে বা মহিলার স্বামীর মৃত্যু হলে যে সময়ের জন্য উক্ত স্ত্রীকে এক বাড়িতে থাকতে হয় অন্যত্র যেতে পারেনা বা অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেনা তাকে ইদ্দত বলে। স্বামীর মৃত্যুর পর চারমাস দশদিন ইদ্দাত পালন করতে হয়। (সূরা: বাকারা, ২.২৩৪)
স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত তার ইদ্দত পালন করতে হবে। ইদ্দত পালন করার উদ্দেশ্য হলো পিতৃত্ব স্থাপন করা। মহিলা গর্ভধারণ করেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইদ্দত পালন করতে হয়। তালাক প্রাপ্তা বা বিধবা মহিলার জন্য স্বামীর বাড়ীতেই ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। (আদ্দুররুল মুখতার ৩/৫৩৫, মুসলিম শরীফ হাদীস নং: ১৪৮২)
বিবাহের পর স্বামীর সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার পূর্বে তালাকপ্রাপ্তা হলে ইদ্দত পালন করতে হবেনা। (সূরা: আহযাব, ৩৩:৪৯)

পূর্ববর্তী নিবন্ধআলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী
পরবর্তী নিবন্ধজ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি : দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে হবে