জলকেলিতে শেষ হলো বৈসাবি উৎসব

রাঙামাটি প্রতিনিধি | রবিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২২ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নানা উৎসাহ আর উদ্দীপনায় পাহাড়ে শেষ হলো প্রাণের উৎসব বৈসাবি। গতকাল শনিবার মারমা সমপ্রদায়ের সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে শেষ হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রধান এ সামাজিক উৎসব। পুরাতন বছরের সকল গ্লানি মুছে ফেলে নতুন বছরের শুভ কামনার জন্য বৃহত্তম এ আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। পার্বত্য জনপদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর মারমা সংস্কৃতিক সংস্থা (মাসস) আয়োজন করে মনোরম অনুষ্ঠানের।
গতকাল দুপুরে মাসসের উদ্যোগে রাঙামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব। এতে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার (মাসস) সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসু্‌ই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিবির সদর সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক কর্ণেল মো. তরিকুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল বিএম আশিকুর রহমান, আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট রাঙামাটি শাখার ডেট কমান্ডার লে. কর্ণেল মেছবাহুল আলম সেলিম (পিএসসি) প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন মাসসের সাধারণ সম্পাদক মউসিং মারমা। এদিন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একে অপরকে জল ছিটিয়ে জলকেলি উৎসবে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংগ্রাই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পানি খেলা দেখার জন্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর উৎসবস্থলে সমবেত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মারমা জনগোষ্ঠী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব উদযাপন করে থাকেন। এ উৎসবটি সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে কিছুটা ধর্মীয় অনুভূতিও এর সঙ্গে মিশে রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেট ফুয়েলের দাম দেড় বছরে বেড়েছে ১১৭%
পরবর্তী নিবন্ধরমনা আবাসিকে ওয়াসার পানি নেই দুই মাস