নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ কোথাও মিছিল–মিটিং করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোথাও মিছিল–মিটিং করতে পারবে না। কোথাও মিছিল করলে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মহানগর পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ আয়োজিত হয়। খবর বাংলানিউজের।
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে বলে জানান আইজিপি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করছে। এ মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা জড়িত ছিল। গণ–অভ্যুত্থানের আগে নেতৃত্ব পর্যায়ের গুটিকয়েক বিপথগামী কর্মকর্তার কারণে পুলিশ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল।
আইজিপি বলেন, এখন আমরা জনগণের আস্থার পুলিশ তৈরি করতে চাই। পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে ধারাবাহিকভাবে বদলি করা হচ্ছে। এই পদে যারা যোগ্য তাদের আনা হচ্ছে।
নতুন করে অস্ত্র নীতিমালা করা হচ্ছে জানিয়ে সমাবেশে মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে যাদের অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার কথা ছিল না, তারা অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছিলেন এবং এই অস্ত্র গণ–অভ্যুত্থানে নিরীহ জনগণের বুকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিগত সরকারের ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারে অসংখ্য ছাত্র–জনতা আহত ও শহীদ হয়েছেন। অনেকে দীর্ঘস্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম। এর আগে বেলা ১১টার দিকে আইজিপি ময়নুল ইসলাম আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। সেইসঙ্গে আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।