চালু হচ্ছে অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিট, সেবা ২৪ ঘণ্টা

মা ও শিশু হাসপাতাল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সুবিধা নিয়ে অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিট বা এএমইউ নামের বিশেষ চিকিৎসাসেবা চালু হচ্ছে। চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে প্রথমবারের মতো এখানে এই সুবিধা চালু হবে। উন্নত বিশ্বের ইমার্জেন্সি চিকিৎসাসেবার আদলে আধুনিক এই চিকিৎসা সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। শুধু নামে নয়, চিকিৎসাসেবার ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।
ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মতো এখানে রোগীরা সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা পাবেন। এই সেবা নিশ্চিতের জন্য এই ইউনিটে তিনজন কনসালটেন্ট ডা. রজত সংকর রায় বিশ্বাস (মেডিসিন কনসালটেন্ট), ডা. মাহাদি হাসান (আইসিইউ কনসালটেন্ট) ও ডা. কাজী তাওহিদুল আলম (মেডিসিন কনসালটেন্ট) কাজ করবেন। এছাড়া একজন রেজিস্ট্রার, দুজন অ্যাসিসটেন্ট রেজিস্ট্র্রার ও ২০ জন মেডিকেল অফিসারের একটি টিম এএমইউতে কাজ করবেন।
মা ও শিশু হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিট একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিমে মেডিসিন, সার্জারি, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক, নাক-কান-গলা, শিশু বিশেষজ্ঞ, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞসহ প্রয়োজনীয় সব বিভাগের ২ জন করে কনসালটেন্ট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।
চট্টগ্রামে মা ও শিশু হাসপাতালই প্রথম এই সেবা চালু করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন বলেন, ১৬ বেডের আইসিইউ, এইচডিইউসহ একটি পরিপূর্ণ অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিট চালু হচ্ছে। অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিটে জরুরি রোগ নির্ণয়ে সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামও যুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টা পোর্টেবল এঙরে, সিটি স্ক্যান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এনালাইটারসহ বেশ কয়েকটি সেবা পাবেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে। এসব পরীক্ষার জন্য ওয়ার্ডে বা প্যাথলজিতে যেতে হবে না। অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিটে ইমার্জেন্সি কেয়ারের ১৬টি শয্যায় রোগী ভর্তির সুবিধা থাকবে। একজন রোগী আসা মাত্র এখানে রাখা হবে। চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ করবেন, প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক কনসালটেন্টের পরামর্শে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও এখানে করা হবে।
তিনি জানান, রোগীদের এখানে ২৪ ঘণ্টা রাখা হবে পর্যবেক্ষণের জন্য। এর মধ্যে যেসব রোগীর আর চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না বা বাসায় চিকিৎসা নিতে পারবেন তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। যেসব রোগীর আরো চিকিৎসার প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র সেসব রোগীকে অন্তঃবিভাগে ভর্তি দেয়া হবে। এই ইউনিটে রোগীরা ইমার্জেন্সি সার্ভিসের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সেবা পাবেন সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা।
তিনি বলেন, মা ও শিশু হাসপাতাল সবসময় নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সেবায় এগিয়ে এসেছে। এখানে রোগী আসার সাথে সাথেই রোগ নির্ণয় হবে দ্রুততম সময়ে। এই ইমার্জেন্সি ও দ্রুততম চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসায় অবহেলাজনিত মৃত্যু কমে আসবে এবং রোগী ও তার পরিবারের সন্তুষ্টি অর্জন হবে।
অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিটের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রফেসর অলক নন্দী, মেম্বার সেক্রেটারি থাকবেন ডা. শেফাতুজ্জাহান। অ্যাডভাইজার হিসেবে আছেন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ। গত ১ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সকল বিভাগীয় প্রধানের সাথে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিট চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমধ্যপ্রাচ্যের ভাড়া কমাল বিমান
পরবর্তী নিবন্ধঅবৈধভাবে মাটি কাটায় লোহাগাড়ায় ডাম্প ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ